প্রতিবেদন : এক রাতেই রেকর্ড বৃষ্টি। গত ৩৯ বছরেও এরকম বিপর্যয় দেখেনি শহর কলকাতা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। পাশে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। সকাল থেকে যেমন রাস্তায় রয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তেমনই মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, কাউন্সিলর মৌসুমি দাস-সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও সকাল থেকেই পথে নেমেছেন। মানিকতলা, সুকিয়া স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট— এইসব অঞ্চলে বরাবরই বর্ষায় জল জমে। পুরসভা তৎপর হওয়ায় দ্রুত জল নামছে।
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলে পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এর মধ্যেই আজ দ্বিতীয়া। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। স্থানীয় ক্লাব রামমোহন সম্মিলনীর মণ্ডপ শিল্পীরা এসেছেন মেদিনীপুর থেকে। এই বিপর্যয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন কুণাল ঘোষ-সহ স্থানীয় মানুষ। পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা কুণাল ঘোষ। কিন্তু এই বৃষ্টিতে যেমন মণ্ডপের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই একইসঙ্গে শিল্পীদের থাকা-খাওয়ারও চূড়ান্ত সমস্যা। সকাল থেকে রাস্তায় হাঁটুজলে নেমে পরিস্থিতি তদারক করলেন কুণাল। সঙ্গে ছিলেন ক্লাব-সদস্যরাও। এলাকার বাড়িতে বাড়িতে বেশি করে তৈরি হল খিচুড়ি। তাই দেওয়া হচ্ছে শিল্পীদের। একই সঙ্গে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু নিজের পাড়ার পুজোই নয়, আশপাশের যে মণ্ডপগুলি আছে সেখানেও হাঁটুজল ভেঙে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন কুণাল। খবর নিলেন নিচু বাড়িতে, একতলায় থাকা মানুষজনেদের। সমস্যায়-পড়া রিকশাচালকদেরও পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।