অভিষেক-কুলদীপে ফাইনালে ভারত

ভারত ১৬৮/৬(২০ ওভার) বাংলাদেশ ১২৭/১০(১৯.৩ ওভার)

Must read

দুবাই, ২৪ সেপ্টেম্বর : পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশ। টানা দুটি ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের (asia cup) ফাইনালে ভারত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটা এখন সূর্যদের কাছে নিছকই নিয়মরক্ষার। রবিবার খেতাবি লড়াইয়ে সূর্যকুমার যাদবদের প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটা ঠিক হবে বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ম্যাচের পর। যে দল জিতবে, তারাই সূর্যদের মুখোমুখি হবে।

বুধবার বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ফের দুরন্ত ব্যাটিং করলেন অভিষেক শর্মা। আরও একটা ম্যাচ জেতানো ইনিংস এল পাক-জয়ের নায়কের ব্যাট থেকে। আরেকজন কুলদীপ যাদব। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিলেন বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার। অভিষেক সহজ ক্যাচ মিস না করলে উইকেট সংখ্যা আরও বাড়ত। চলতি এশিয়া কাপে (asia cup) ১৩ উইকেট শিকার হয়ে গেল কুলদীপের। দুটো করে উইকেট নিলেন জসপ্রীত বুমরা ও বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে উইকেটে অক্ষর প্যাটেল ও তিলক ভার্মা।

অভিষেক ব্যক্তিগত পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ২৫ বলে। শুরুতেই একবার ক্যাচ তুলে বেঁচে গিয়েছিলেন। অভিষেকের রান তখন ৭। তানজিম হাসানের বলে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটকিপার জাকের আলি। যিনি লিটনের পরিবর্তে এদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে এর পরেই ঝড় তোলেন অভিষেক। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন শুভমন গিলও। দু’জনের দাপটে পাওয়ার প্লে-তেই ৭২ রান উঠে গিয়েছিল। যা এবারের এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ। তবে সপ্তম ওভারে বল করতে এসে জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশি স্পিনারের বল ছয় মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শুভমন। তাঁর অবদান ১৯ বলে ২৯ রান।

দুই ওপেনার বড় রানের ভিত গড়ে দিলেও, স্কোরবোর্ডে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি ভারত। এর কারণ মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা। পাওয়ার প্লে-তে ঝড় তুললেও, শেষ ১৪ ওভারে মাত্র ৯৬ রানই তুলতে পেরেছিলেন সূর্যরা। অন্যদিকে, মাঝের ওভারগুলোয় দারুণ বল করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাল ফিল্ডিং। তিন নম্বরে শিবম দুবেকে পাঠিয়ে ফাটকা খেলেছিল ভারত। কিন্তু মাত্র দু’রান করে রিশাদের দ্বিতীয় শিকার হন দুবে। অন্যদিকে, যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল টি-২০ ক্রিকেটে তিন নম্বর সেঞ্চুরিটা আসতে চলেছে। কিন্তু ৭৫ করে রান আউটের শিকার হন অভিষেক। তাঁর ৩৭ বলের ঝোড়ো ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছয় দিয়ে। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। পাঁচ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পিছনে জাকেরের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। ফলে বিনা উইকেটে ৭৭ থেকে দ্রুত ৪ উইকেটে ১১৪ হয়ে গিয়েছিল ভারত। হতাশ করেন তিলক ভার্মাও (৫)। হার্দিক পান্ডিয়া ২৯ বলে ৩৮ রান করে পরিস্থিতি সামাল দেন।

আরও পড়ুন-মিউজিক লঞ্চেই রক্তবীজ-২ ঘিরে চরম উন্মাদনা, স্পেশাল শো একদিন আগেই হাউসফুল

রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। যার প্রভাব পড়েছিল রানরেট। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৪৪ রানই উঠেছিল।বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র লড়লেন ওপেনার সাইফ হুসেন। তবে তাঁর ৫১ বলে ৬৯ রানের ইনিংস কোনও কাজে এল না। সাইফ ও পারভেজ হুসেন (২১) ছাড়া আর কোনও বাংলাদেশি ব্যাটার দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।

Latest article