জোর ধাক্কা বাংলাবিরোধী বিজেপির : অভিষেক

সোনালি বিবি-সহ ৬ পরিযায়ী শ্রমিককে ৭ সপ্তাহের মধ্যে ফেরাতে নির্দেশ কোর্টের, মুখোশ খসল কেন্দ্রের

Must read

প্রতিবেদন : আর রাখঢাক নয়। হাইকোর্টের রায়ে এবার হাটে হাঁড়ি ভেঙে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এক্কেবারে মুখোশ খুলে গেল কেন্দ্রের। প্রমাণিত হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলেছিল তা সঠিক ছিল। বীরভূমের এক গর্ভবতী মহিলা-সহ ৬ জনকে বাংলাদেশি বলে পুশ-ব্যাক করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট শুক্রবার সেই পদক্ষেপকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। সেইসঙ্গে ওদের চার সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জোর ধাক্কা খেয়েছে বাংলা-বিরোধী বিজেপি। এই রায়ের প্রেক্ষিতে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) বলেন, বাংলাকে এরা নিপীড়িত শোষিত করে রাখতে চেয়েছে।

কিন্তু হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছে যে, বীরভূমের গর্ভবতী মহিলা সোনালি বিবি-সহ আরও পাঁচজনকে এফআরআরও দ্বারা বহিষ্কারের নির্দেশ অবৈধ। আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত আনার নির্দেশ দিয়েছে। শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁদের গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছিল। বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তীতে, আজকের হাইকোর্টের থাপ্পড়ের সঙ্গে সঙ্গে ওদের প্রথমে ক্ষমা চাইতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কেন্দ্র ও বিজেপিকে তুলোধোনা করেন।

আরও পড়ুন- পকসো মামলা : সাজা হল একবছরের মধ্যেই

শশী পাঁজা বলেন, দেবীপক্ষের সময় সঠিকভাবে জাস্টিস পেলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন। বীরভূমের সোনালি খাতুন-সহ ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে দিল্লি থেকে কেন্দ্র সরকার অনৈতিকভাবে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মা দুর্গার আশীর্বাদ, মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছে, এ কী করেছেন আপনারা? এই বিতাড়ন সম্পূর্ণ বেআইনি। ভারতের নাগরিক তাঁরা, আপনারা তাঁদের পার্সেল করে পাঠিয়ে দিলেন বাংলাদেশে! কিন্তু মা দুর্গার সন্তান সোনালি খাতুন, মা খেয়াল রাখেন যাতে অন্যায় না হয়! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো কলকাতায় এসেছেন। মায়ের কথা বললেন, সোনার বাংলার কথা বললেন। সোনার বাংলা কিন্তু মায়েদের সম্মানের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়। আপনি মায়েদের তাড়াবেন আর সোনার বাংলার কথা বলবেন, দুটো একসঙ্গে খাপ খায় না! কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলায় কথা বললেই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে, চূড়ান্ত হেনস্থা করা হচ্ছে।
হাইকোর্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ওই অভিযোগ কতটা ঠিক! কেন্দ্রের সরকার কতটা অমানবিক কাজ করছিল! বাংলা-বিরোধী কারা? ওরা। মায়েদের বিরোধী কারা? ওরা। নারী-বিরোধী কারা? ওরা। একজন মা শুধু বাংলায় কথা বলেন বলে বিদেশি অপবাদ দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে! অমিত শাহের উচিত, প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা! বিজেপি ক্ষমা চাক। অমিত শাহ হাইকোর্টের এই থেকে শিক্ষা নিয়ে অবিলম্বে ক্ষমা চান।

Latest article