বিতর্কসভায় কেন্দ্রকে মুখোমুখি বসার চ্যালেঞ্জ ওয়াংচুকের স্ত্রীর

Must read

লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে (Sonam Wangchuk) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিস্ফোরক অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোনমের স্ত্রী। সরাসরি নিশানা করেছেন কেন্দ্রকে।

সোনমের স্ত্রীও সমাজসেবী। গীতাঞ্জলি জে আংমো। তিনি সোনমের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন। জানিয়েছেন,”চার বছর ধরে সোনমকে হয়রানি করা হচ্ছে। গোয়েন্দা আধিকারিকরা অনেক বছর ধরেই সোনমকে (Sonam Wangchuk) হুমকি দিচ্ছেন। বিদেশি অনুদান নেওয়ার লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। টার্গেট করা হয় আমাদের সংস্থা হিমালয়ান ইনস্টিটউট অফ অল্টারনেটিভস, লাদাখ ও সেকমলকে।”

গীতাঞ্জলি বলেন,“পুলিশ সমস্ত প্রক্রিয়া না মেনেই সোনমকে হেফাজতে নিয়েছে। অভিযান চালিয়েছে সোনমের বাড়িতে। তাঁকে দেশবিরোধী হিসাবে দাগিয়ে মিথ্যা বর্ণনা ছড়ানো হয়েছে। যা গণতন্ত্রের সবচেয়ে খারাপ দিন। কারণ ছাড়াই, সোনমকে একজন অপরাধীর মতো গ্রেফতার করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন-আজ মহাসপ্তমী, মণ্ডপে দেবীদুর্গার আগমন, জনারণ্য কলকাতা

বিজেপিকে তোপ দেগে সোনমের স্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক এবং পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে যারা কথা বলছেন, বিজেপি ইচ্ছাকৃত তাঁদের কণ্ঠস্বর রোধ করছে। শাসকদল ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। যারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন, তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য সরকার যা ইচ্ছা তাই করছে।” পাশাপাশি কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ করে জানান, “আমি সরকারের প্রতিনিধিদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, তাঁরা টেলিভিশনে আমার সঙ্গে বিতর্কসভায় অংশ নিন।”

লাদাখের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য বিজেপি এবং আরএসএসকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। এদিকে অশান্তির জেরে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে লাদাখের পর্যটনে। আন্দোলনের জেরে অনেকেই হোটেল বা হোম স্টে বুকিং বাতিল করছেন।

হিংসার পর কেটে গিয়েছে পাঁচদিন। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি লেহ শহরে। এই পরিস্থিতিতে কার্ফুর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে লে এবং কার্গিলে। সিআরপিএফ, আইটিবিপির জওয়ানারা জায়গায় জায়গায় টহল দিচ্ছেন। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ফ্ল্যাগ মার্চ করছে বাহিনী।

Latest article