কায়েশ আনসারি, দার্জিলিং: শান্ত, নিরিবিলি পাইন গাছঘেরা পাহাড়ের গ্রাম। দার্জিলিং থেকে আরও সাড়ে সাত হাজার ফিট ওপরে। রিম্বিক। কাঁসর, ঘণ্টা উলুধ্বনিতে রাজ্যের উচ্চতম জায়গা মেতে উঠেছে পার্বতীর আবাহনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজোর অনুদান পৌঁছে গিয়েছে পাহাড়ের এই ছোট্ট গ্রামটিতেও। প্রতিষ্ঠিত মন্দির, তার দেওয়ালে সিংহবাহিনীর মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এত উঁচুতে প্রতিমা নিয়ে আসা যায় না, তাই মন্দিরের দেওয়ালেই রং করে তাতে মাটির তৈরি প্রতিমার আকার দেওয়া হয়। এখানে মা দশভুজা নন, চার হাতে সজ্জিত অস্ত্র। পর্বতের মেয়ে পার্বতী রূপ।
আরও পড়ুন-প্রয়াত রাজনীতিক, ক্রীড়া প্রশাসক বিজয় মালহোত্রা, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দশ দিন ধরে চলে মায়ের আরাধনা। নিষ্ঠাভরে হয় পুজো। নেপালি সম্প্রদায়ের মানুষ এই আয়োজন করেন। জাগ্রত এই পাহাড়ি মাকে দর্শন করতে আসতে হবে উচ্চতম রিম্বিকে। বাইরে ছিমছাম প্যান্ডেলে নজরকাড়া আলোকসজ্জা। আন্তরিকতার ছোঁয়া। রিম্বিককে দার্জিলিংয়ের ট্রেকিং রুটের গেটওয়ে বললেও ভুল হবে না। শ্রীখোলার খুব কাছেই অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার একটি শৈলশহর, যা মূলত মানেদারা ও গুরদুমের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাইন ও ধুপি গাছে ঘেরা পরিবেশ এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য বিখ্যাত। হিমালয়ে ট্রেকিংয়ের গেটওয়ে রিম্বিক দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খুব কাছেই ইন্দো-নেপাল সীমান্ত। সান্দাকফু, ফালুট, লস্ট ভ্যালির মতো বিভিন্ন ট্রেকিং রুট ছুঁয়ে গিয়েছে রিম্বিক হয়ে। চারদিক সবুজ পাহাড়ে ঘেরা জায়গা। শীতে রুক্ষ হলেও বসন্তে ফুলে সেজে ওঠে গোটা গ্রাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পাহাড়ের কোলের এই গ্রামটি শামিল হতে পেরেছে উৎসবে। পার্বতীর আরাধনার মধ্যেই তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা বললেন, এই গ্রামের পুজোয় এলেই বোঝা যায় ধর্ম যার যার উৎসব সবার, যা মুখ্যমন্ত্রী বলে থাকেন। পাহাড়চূড়ায় পার্বতীর আবাহন একমাত্র সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই, তাঁকে ধন্যবাদ।