প্রতিবেদন: ইরানে গিয়ে সেপাহান এসসি-র বিরুদ্ধে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর ম্যাচ না খেলায় প্রত্যাশিতভাবেই এএফসি-র আইন মেনে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে। তেহরানে মহাষ্টমীর দিন ছিল ম্যাচ। নিরাপত্তার কারণে মোহনবাগান ইরানে খেলতে না যাওয়ায় তা নাম প্রত্যাহারেরই শামিল বলে মনে করছে এএফসি। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এ আর কোনও ম্যাচ খেলতে পারবে না মোহনবাগান। ঘরের মাঠে আহালের বিরুদ্ধে খেলা ম্যাচটিও বাতিল করা হল। ক্যাসের রায় আসার আগেই সিদ্ধান্ত নিল এএফসি।
আরও পড়ুন-বিহারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় বাদ ৪৭ লক্ষ
গতবারও একই কারণে ইরানে যায়নি মোহনবাগান। এএফসি টুর্নামেন্ট থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল জোসে মোলিনার দলকে। এবার আরও বড় শাস্তি পেতে পারে মোহনবাগান। শুধু চলতি মরশুমের এসিএল নয়, আগামী কয়েক বছরের জন্য এএফসি প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাসিত হতে পারে মোহনবাগান। হতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এমনকী ভারত এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্লট হারাতে পারে। মোহনবাগান অবশ্য যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। ইরানে না যাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে এবং নিরপেক্ষ ভেনুতে সেপাহান ম্যাচ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের (ক্যাস) দ্বারস্থ হয়েছে মোহনবাগান। ক্যাসের রায়ের দিকে তাকিয়ে ক্লাব। এএফসি-র কাছেও নিরপেক্ষ ভেনুতে ম্যাচ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু তা নাকচ হয়ে যায়।
ম্যানেজমেন্টের দাবি, জীবনের ঝুঁকির থেকে খেলা বড় নয়। ফুটবলাররা নিজেদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, নিরাপত্তাকে অগ্রাহ্য করে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। ক্লাবও তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করেনি। ক্যাসের সিদ্ধান্ত জেনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তারা তৈরি। আপাতত আইএফএ শিল্ডে খেলার জন্য তৈরি হচ্ছে মোহনবাগান। সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য জাতীয় শিবিরে যোগ দিচ্ছেন মোলিনার দলের ছয় ফুটবলার লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপা, অপুইয়া, দীপক টাংরি ও সাহাল। ডাকা হতে পারে বিশাল কাইথকে।