নবমী পর্যন্ত মোটের উপর আবহাওয়া (weather update) ভালো থাকলেও, দশমীর সকাল থেকেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবারই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে কলকাতায় কমলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত। তা ধীর গতিতে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। ফলে একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া (weather update) দফতর জানিয়েছে, যে নিম্নচাপটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ছিল, তা ১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে আরও উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আপাতত পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। সেটি ওড়িশার গোপালপুর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব, পুরী থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনম থেকে ১৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্ব, বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০ কিলোমিটার পূর্বে এবং পারাদ্বীপ থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে সেটি গভীর নিম্নচাপ আকার নিয়ে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলবর্তী গোপালপুর এবং পারাদ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে।
আরও পড়ুন-দশমীর শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর, জানালেন দশেরার অভিনন্দনও
নিম্নচাপের জেরে এদিন কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই পূর্বাভাস হাওড়াসহ উপকূলবর্তী জেলাগুলির জন্যেও। শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে রবিবার পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা। শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্র ও শনিবার এই জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা রয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহেও ওই দু’দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।