এসআইআর : স্থানান্তর-ডুপ্লিকেশন ও মৃত্যুর কারণেই বাদ ৯৯ শতাংশ নাম, বিহারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি

নিবিড় সংশোধনের পরে বিহারের যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাতেও প্রকট হয়ে উঠেছে স্বচ্ছতার অভাব।

Must read

পাটনা : নিবিড় সংশোধনের পরে বিহারের যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাতেও প্রকট হয়ে উঠেছে স্বচ্ছতার অভাব। বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট অসঙ্গতি। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-কমিশনের যৌথ কারচুপির। প্রশ্ন উঠেছে, নাগরিকত্ব প্রমাণের পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কি আদৌ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে নির্বাচন কমিশন? কমিশনের তথ্য বলছে, ৯৯ শতাংশ নামই বাদ পড়েছে মৃত্যু, স্থানান্তর এবং ডুপ্লিকেশনের কারণে। নাগরিকত্বের ইস্যু আদৌ ফ্যাক্টর নয়।

আরও পড়ুন-বাংলায় আরও বিনিয়োগ, কলকাতার দুর্গোৎসব মুম্বইয়ের গণেশপুজোকেও হার মানাবে: জিন্দাল

কমিশনের চূড়ান্ত তালিকায় সন্দেহের সূত্রপাত বিদেশি নাগরিকদের নাম নিয়ে। কতজন বিদেশির নাম তালিকা থেকে আদৌ বাদ দেওয়া হয়েছে তা মোটেই জানায়নি নির্বাচন কমিশন। কেন বিষয়টি অন্ধকারে রাখা হল তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যাও দেননি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আরও রহস্যজনক বিষয় হল, বাদ দেওয়া পুরুষ এবং মহিলা ভোটারের নাম, বিশেষ করে, বাদ যাওয়া মহিলা ভোটারের শতাংশের হিসাবও দেয়নি কমিশন। সন্দেহটা গভীর হয়েছে এখানেই। প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপির নির্দেশে কারচুপি ঢাকতেই কি এই অপকৌশল কমিশনের? তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, চূড়ান্ত তালিকায় নাগরিকত্ব ইস্যু আদৌ কোনও ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হয়নি। কমিশনের তথ্যের দাবি, বাদ যাওয়া নামের ৯৯ শতাংশই মৃত্যু, স্থানান্তর এবং ডুপ্লিকেশনের কারণে। বিহারের বিরোধী দল আরজেডি অবশ্য মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের কড়া পদক্ষেপের ফলে বিজেপি তথা এনডিএ সরকারের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। গণহারে যে বিশাল সংখ্যার ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার জঘন্য ষড়যন্ত্র করেছিল মোদির সরকার তা মাঠে মারা গিয়েছে। একই মত কংগ্রেসেরও।
লক্ষণীয়, জুন থেকে শুরু হওয়া এসআইআরের পরে গত মঙ্গলবার বিহারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সংযুক্তি-বিযুক্তির পরে বাদ পড়ল প্রায় ৪৭ লক্ষ ভোটারের নাম। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে একটি অতিরিক্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

Latest article