প্রতিবেদন : একদিকে রাস্তাঘাটের যান নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে পুজো মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়া জনস্রোত সামাল দেওয়া। তার সঙ্গে আবার শহরের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পুজোয় একা হাতে দশদিক সামলাতে হয় পুলিশকে। এবারও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ কলকাতা পুলিশই। পুজোর জন্য সাধারণ মানুষের সুরক্ষার সঙ্গে কোনও আপোস করেনি পুলিশ। মানুষের সুরক্ষার প্রশ্নে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের প্যান্ডেলে লাইট-সাউন্ড শো কিংবা ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে অঘোরি সাধুদের নাচ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। যান- চলাচল থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ কিংবা পার্কিং সমস্যা, সবটাই ঠান্ডা মাথায় সামলেছেন লালবাজারের কর্তারা। প্রয়োজনে পথে নেমেছেন উচ্চপদস্থ কর্তারাও। নগরপাল মনোজ ভার্মা নিজেও বিভিন্ন মণ্ডপ ও যানজটপ্রবণ রাস্তায় ঘুরে তদারক করেন।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানকে ফের কড়া হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের
এ বছর কার্যত মহালয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য মণ্ডপের দ্বার খুলে দিয়েছিলেন নামকরা পুজো উদ্যোক্তারা। আর নিত্যনতুন ভাবনার টানে শ্রীভূমি-টালা থেকে চেতলা-সুরুচির প্যান্ডেলে পুজোর প্রত্যেকদিনই বাঁধভাঙা জনসমুদ্র আছড়ে পড়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সবটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আবার পথেঘাটে যানজটে মানুষকে দুর্ভোগের শিকারও হতে হয়নি। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকেই সমস্ত পরিকল্পনা করে রাখা ছিল। কোথায় পার্কিং জোন হবে, কোথায় ব্যারিকেড করা হবে সেসব খতিয়ে দেখে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পুজোয় পুলিশের চিরকালীন ট্যাগলাইন, তোমার ছুটি আমার নয়! পুজোর সময় গোটা শহর, রাজ্য যখন পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটায়, ঠাকুর দেখে আনন্দ করে; পুলিশকর্মীরা তখন ছুটি বাতিল করে মানুষের সুরক্ষা-নিরাপত্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এবারও কলকাতা পুলিশের হাজার হাজার আধিকারিক পথে নেমে সাধারণ মানুষকে নিশ্চিন্তে আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেন। লালবাজার সূত্রে খবর, চতুর্থীতে দশ হাজার পুলিশ রাস্তায় ছিল। সপ্তমী থেকে এই সংখ্যা আরও কয়েকহাজার বাড়ানো হয়। পুলিশকর্মীদের দিনরাতের পরিশ্রমের ফলেই সাধারণ মানুষ এ-মণ্ডপ থেকে ও-মণ্ডপ ঘুরে শান্তিতে সুষ্ঠুভাবে ঠাকুর দেখতে পেরেছেন।