প্রতিবেদন : এ যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ! শারদোৎসবের বিদায়লগ্নে দাঁড়িয়ে এখন উমাকে কৈলাসের পথে এগিয়ে দেওয়ার পালা। বৃহস্পতিবার দশমীর পর শুক্রবার একাদশীতেও কলকাতার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটগুলিতে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর্ব। ঘাটে-ঘাটে রয়েছে কলকাতা পুরসভার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কলকাতা পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং জলে রিভার ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারি। দশমীর রাতে হাজারও প্রতিমা বিসর্জনের পর শুক্রবার সকাল থেকে ঘাটগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তৎপর পুরসভা। আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে লাগাতার সাফাই-অভিযান চলছে পুরকর্মীদের। গঙ্গাদূষণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত জল থেকে তোলা হয়েছে বিসর্জন দেওয়া প্রতিমা। ঝাঁ-চকচকে রাখা হচ্ছে পুরসভার অধীনস্থ ঘাটগুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকেও প্রচুর প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যার পর বিসর্জনের সংখ্যা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন-যান-চলাচল থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, পুজোয় চ্যাম্পিয়ন কলকাতা পুলিশ
প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বাবুঘাট-জাজেস ঘাট থেকে শুরু করে আহিরিটোলা-কুমোরটুলি ঘাটে। ঘাটের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লঞ্চগুলিতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। রিভার ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারিতে কাউকে গভীর জলে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তা থেকে প্রতিমা বয়ে এনে ঘাটে পাক খাইয়ে জলে দেওয়ার পুরোটাই করছেন পুরকর্মীরা। পুজো কমিটির শুধুমাত্র একজনকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে রীতি অনুযায়ী গঙ্গার জল সংগ্রহ করার জন্য। এছাড়াও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে আকাশপথেও। পাশাপাশি, বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জনে নিরাপত্তা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও ক্লাব কর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।