তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনে দুর্গাপুজোয় তুমুল উৎসবের আবহ তৈরি হল দিঘার জগন্নাথধামে। পুজোর পাঁচ দিনে একপ্রকার ভিড়ে টইটুম্বুর হয়ে উঠল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প জগন্নাথধাম। পাঁচ দিনে জগন্নাথ ধামে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের আগমন ঘটেছে বলে দিঘার জগন্নাথধাম ট্রাস্ট সূত্রে খবর। পুজোয় এবার সমুদ্রের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক পরিবেশের সাক্ষী থাকতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন দিঘায় ভিড় জমান। রোজ সন্ধ্যায় লাইন দিয়ে কাতারে কাতারে মানুষ দর্শন করে যান আলোকোজ্জ্বল জগন্নাথধাম। দুর্গাপুজো উপলক্ষে জগন্নাথধামে মহালয়া থেকেই চলে বিশেষ পুজোপাঠ।
আরও পড়ুন-মাদ্রাজ হাই কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে বিজয়ের দল
ষষ্ঠী থেকে দশমী জগন্নাথ-বলরাম ও সুভদ্রাকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়। সুভদ্রা দেবীকে দুর্গাজ্ঞানে পুজো করা হয় জগন্নাথধামে। এছাড়াও মন্দিরে অবস্থিত বিমলা দেবীকেও দুর্গারূপে পুজা করা হয়। আর এই সমস্ত আচারবিধি নিজেরা চাক্ষুষ করতে ভক্তরা লাইন দিয়ে ভিড় জমান জগন্নাথধামে। পুজোর কদিন জগন্নাথধাম কর্তৃপক্ষের তরফে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদেরও ব্যবস্থা করা হয়। জগন্নাথধাম ট্রাস্ট সূত্রে খবর, পুজোর প্রতিদিন ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ জগন্নাথধামে এসেছেন। নবমীর দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বিকেল থেকেই কাতারে কাতারে মানুষজন নবমীতে ভিড় জমান জগন্নাথধামে। লাইন দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করানো হয় তাঁদের। প্রতিদিন বিশেষ কীর্তন, নামগানের পাশাপাশি শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশনেরও ব্যবস্থা হয় মন্দিরের মধ্যে। পুজো উপলক্ষে বিপুল ভিড়ে দিঘার অর্থনীতিও কার্যত অনেকটাই চাঙ্গা হল বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুজোয় জগন্নাথধামে পর্যটকদের বিপুল আগমনে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে সিভিক ভলেন্টিয়ারের পাশাপাশি রাখা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। প্রসাদ বিতরণের সময়ও যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নজরদারি ছিল মন্দিরেও। ট্রাস্ট সদস্য রাধারমণ দাস বলেন, জগন্নাথধাম উদ্বোধনের পর প্রথমবার পুজোতেই পাঁচ দিনে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ এসেছেন।