সংবাদদাতা, বসিরহাট : ইছামতীতে (Ichamati) নিরঞ্জন করেই শুরু হয় টাকি, বসিরহাটের প্রতিমার বিসর্জনপর্ব। তাই বিসর্জন-শেষে ইছামতীর দূষণ রোখাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ থাকে প্রশাসনের কাছে। বিসর্জনপর্ব মিটতেই তাই ঘাটে-ঘাটে কাঠামো তোলার কাজ শুরু করল পুরসভা।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার ছোট-মাঝারি-বড় পুজো হয়। বৃহস্পতিবার থেকে টাকির ইছামতী নদীতে বিসর্জন শুরু হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। ইছামতীর দূষণ রুখতে বাদুড়িয়া, বসিরহাট, টাকি পুরসভার পুরকর্মীরা ঘাটে ঘাটে মা দুর্গার কাঠামো তোলার কাজ শুরু করেছে। সেই সঙ্গে শোলা, প্রতিমার রং-বেরঙের শাড়ি, অস্ত্রশস্ত্রও যাতে নদীতে পড়ে দূষণ না ছড়াতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারির পরও জল ছাড়ছে, ডিভিসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল!
এই গোটা বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছেন বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী, বাদুড়িয়া চেয়ারম্যান দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়েরা। দুর্গা প্রতিমা যত্রতত্র নদীতে না ফেলার জন্য এবং নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিমার নিরঞ্জন করার জন্য আগে থেকেই প্রচার চালানো হয়েছিল। সবমিলিয়ে সকাল থেকে কাঠামো তোলার কাজ শুরু করেছেন পুরকর্মীরা।
সকাল থেকে ইছামতী (Ichamati), কালিন্দী, রায়মঙ্গল, গৌড়েশ্বর-সহ একাধিক নদী থেকে কয়েক হাজার কাঠামো তোলা হয়েছে।