পুবংয়ে ধস, মৃত এক, ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি গাড়ি

Must read

প্রতিবেদন : প্রবল দুর্যোগ, ধস, মৃত্যু। রবিবারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে সোমবার সকাল থেকেই পাহাড়ের আবহাওয়া ভালো। বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে ফের সুখিয়াপোখরির পুবং চা বাগান এলাকায় ধসের খবর মিলেছে ভেঙে পড়েছে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচটি গাড়ি। মৃত্যু হয়েছে একজনের। প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুত চলছে রাস্তা স্বাভাবিক করার কাজ। এদিকে মিরিকে রবিবার ধসে মৃত একই পরিবারের তিনজনের সৎকার হল এদিন। এই ঘটনায় এলাকা জুড়েই ছিল শোকের ছায়া। তবে সোমবার সকালে দার্জিলিংয়ের বহাওয়া ভালোই ছিল। এরই মধ্যে ঝকঝকে আবহাওয়ায় দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ায় পর্যটকেরা পাহাড় থেকে নামতে শুরু করেছেন। সমতলেও কমেছে বৃষ্টি। প্রসঙ্গত, শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৬১ মিলিমিটার বর্ষণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি। তিস্তা-তোর্সা-মহানন্দার জলস্তর বেড়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। প্লাবিত উত্তরের জেলার একাধিক এলাকা। ধসে গিয়েছে বহু রাস্তা, ভেঙেছে সেতু, কালভার্ট। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিরিক, সুখিয়াপোখরি। লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। তবে সোমবার সকাল থেকে দুর্যোগের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে জানা যাচ্ছে। তিস্তা ফুঁসে ওঠায় এবং ধসের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। তবে খোলা রয়েছে লাভা-গরুবাথানের রাস্তা এবং শিলিগুড়ি-কালিম্পঙের পানবু রোড। ধস নামায় শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রোহিণী রোড বন্ধ। দার্জিলিং থেকে মংপু হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিরিক-পশুপতি-ঘুম-কার্শিয়াংয়ের রাস্তাতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। তবে উত্তরবঙ্গের দুর্যোগের জেরে নিউ জলপাইগুড়িগামী একাধিক ট্রেনের সূচি বদল করতে হয়েছে। প্রায় বারো ঘণ্টা দেরিতে চলছে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস।

আরও পড়ুন- প্ররোচনায় পা দিয়ে অশান্তি নয়: বিপর্যস্ত এলাকায় গিয়ে সংযমের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

Latest article