মন্তেশ্বরে বিজয়া সম্মিলনীতে জনজোয়ার, জেলার সব আসনে জেতানোর আহ্বান

মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী হল কুসুমগ্রাম ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। সভায় মূল বক্তা ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

Must read

সংবাদদাতা, বর্ধমান : মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী হল কুসুমগ্রাম ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। সভায় মূল বক্তা ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জেলা থেকে ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিতে হবে সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে। জেলার সব ক’টি আসনে জিতে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম, কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওরা মুখে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে আর ভোটটা পদ্মফুলে দেয়। সিপিএম, আইএসএফ, কংগ্রেস ভোট নষ্ট করে। তাই ওদেরকে ভোট দেওয়া মানে ভোটটাই নষ্ট করা।

আরও পড়ুন-নারীর ক্ষমতায়নে নয়া দিশা বাংলা

ভিড়ে ঠাসা সভায় কুণালের মন্তব্য, সিপিএমকে শূন্য করেছি। বিজেপিকেও শূন্য করব। শপথ নিন, মন্তেশ্বর-সহ পূর্ব বর্ধমানের ১৬টি বিধানসভাতেই গতবারের তুলনায় বেশি মার্জিনে তৃণমূলকে জিতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চতুর্থবারের জন্য মা-মাটি-মানুষের সরকার গঠনের পথ সুগম করব। সভায় বক্তা ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, দেবু টুডু, রাসবিহারী হালদার, নীলা মুন্সি, সন্দীপ বসু প্রমুখ। সভার মূল উদ্যোক্তা আহমেদ হোসেন। এদিন কুণাল ডিভিসি-র ‘বেহিসেবি ও বেপরোয়া’ জল ছাড়ার সমালোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন। বলেন, নিগৃহীত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌজন্যের এরকম দৃষ্টান্ত বিরল। প্রশ্ন তোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুনের চেষ্টা হয়েছে। সিপিএমের কোনও নেতা দেখতে গিয়েছিলেন? ত্রিপুরায় যখন আমাদের নেতারা আক্রান্ত হলেন, কেউ দেখতে গিয়েছিলেন? আমরা বিজেপি, সিপিএমের কাছে সৌজন্য শিখব? যোগ করেন, বিজেপি নেতাদের মার খাওয়ার ঘটনা সমর্থন করি না। কিন্তু মানুষ কেন রেগে আছেন, সেটাও তো ভাবা দরকার!

Latest article