প্রতিবেদন : সোমবারের পর মঙ্গলবারও দুর্গত এলাকা চষে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে মিরিকের দুধিয়ায় গিয়ে সবটা দেখে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে ১৫ দিনের মধ্যে তৈরি করে দেওয়া হবে একটি অস্থায়ী সেতু, যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়। পাশাপাশি স্থায়ী সেতু তৈরির কাজও চলবে, যা তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর। ইতিমধ্যে দার্জিলিং-মিরিক সংযোগকারী ভেঙে পড়া দুধিয়া সেতু সংস্কারে পদক্ষেপ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সবদিক লক্ষ্য রাখতে হবে। এক তরুণীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তৎক্ষণাৎ তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে নির্দেশদেন প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন-মৃত দু’জনের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার চেক
এছাড়া জানান, কমিউনিটি কিচেন আপাতত একমাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্যও।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কাছে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে— যার মধ্যে ১৮ জন মিরিক, কালিম্পং অঞ্চলের ও ৫ জন নাগরাকাটার। মৃতদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য এবং পরিবারের এক জনকে হোমগার্ডের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টাকা জীবনের বিকল্প নয়। কিন্তু আমরা চাই, এই কঠিন সময়ে যেন কেউ মুখাপেক্ষী হয়ে না-থাকেন। তাই সরকারের তরফে এটুকু সহযোগিতা করা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। এদিন, ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক তরুণীর কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শরীরের ক্ষত পরীক্ষা করে বলেন, ওই তরুণী ধসের কবলে পড়েছিলেন। তাই তাঁর শরীরে আঘাত। ক্যাম্পে যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা পান আক্রান্ত তরুণী, তা নিয়ে বারবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিপর্যয়ে মাথার ছাদ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিও জলে চলে গিয়েছে। আধার, ভোটার, প্যান কার্ডের মতো সেসব জরুরি নথি দ্রুত তৈরি করে দিতে হবে, এই মর্মে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেইসঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ভাঙা ঘরবাড়ি সব রাজ্য সরকার বানিয়ে দেবে। পড়ুয়াদের বইখাতা-স্কুল ড্রেস নষ্ট হলে সেটাও দেখে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস তাঁর।