ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। বুধবার, ফের প্রমাণিত। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া বাংলা তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধিদলকে আগরতলা বিমানবন্দরের বাইরে বের হতেই দিচ্ছে না বিজেপি সরকারের পুলিশ। ভাঙচুর হয়েছে দলীয় সদর দফতর। মারধর করা হয়েছে কর্মীদের। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে নিন্দার পাশাপাশি ত্রিপুরায় আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে বুধবারই সকালে আগরতলা পৌঁছান তৃণমূলের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। স্বৈরাচারী বিজেপির রাজ্যে আগরতলা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হল সেই প্রতিনিধিদলকে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এতটা ব্যর্থ মানিক সাহা প্রশাসন, যে সেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দোহাই দিয়েই বিমান বন্দর থেকে শহরে পা রাখতে বাধা পুলিশের। তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিমান বন্দরের সামনেই এর প্রতিবাদে অবস্থানে বসে পড়েন।
তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, যে গাড়ি তাঁদের নিতে এসেছিল তার চালকদের হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুণাল ঘোষ জানান, এর পরে তাঁরা প্রিপেড ট্যাক্সি বুক করতে যান, কিন্তু সেখানেও তাঁদের গাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়নি। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বিমানবন্দর ছেড়ে বেরতে পারবে না তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তীব্র কটাক্ষ করে পুলিশকে কুণাল বলেন, আপনারা দুটো অটো ডেকে দিন, আমরা তাতে চড়েই যাব।
আরও পড়ুন- সেক্টর ফাইভে স্মার্ট নজরদারি চালু স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট ব্যবস্থা
তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বিজেপির নেতারা বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেন, ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬০দিন বাংলায় ফাইভস্টার হোটেল ভাড়া করে পড়ে থাকেন- কোনও বাধা পান না। আর বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রতিনিধিরা এলেই বাধার মুখে পড়েন। এতেই বোঝা যায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্য গণতন্ত্র নেই। বাংলার ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার- মা মাটি মানুষের সরকারে গণতন্ত্র আছে।
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, এখনও আগরতলা বিমানবন্দরের মধ্যে অবস্থানে বসে রয়েছেন সুস্মিতা, প্রতিমা, সায়নী, কুণাল, সুদীপরা। সঙ্গে রয়েছেন, ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। বাংলার প্রতিনিধিদল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ- আমরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সহমর্মিতা দেখাতে এসেছি, আমরা দেখা করেই ফিরব।