জলের ট্যাঙ্কে পাওয়া গেল পচাগলা দেহ

এই হল যোগীরাজ্য। কী করুণ দশা গেরুয়া সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের। মেডিক্যাল কলেজের জলের ট্যাঙ্কে পাওয়া গেল পচাগলা দেহ

Must read

লখনউ: এই হল যোগীরাজ্য। কী করুণ দশা গেরুয়া সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের। মেডিক্যাল কলেজের জলের ট্যাঙ্কে পাওয়া গেল পচাগলা দেহ। গত প্রায় ১০ দিন ধরে সেই জলই নিজেদের অজান্তে ব্যবহার করেছেন কলেজের পড়ুয়ারা এবং কর্মীরা। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হল ওই জল ব্যবহৃত হয়েছে হাসপাতালের ওয়ার্ড এবং আউটডোরেও। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে ডি অরিয়ার মহর্ষি দেবরাহা বাবা মেডিক্যাল কলেজে। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ডাক্তারি পড়ুয়াদের অর্থাৎ ভবিষ্যতের চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার প্রশ্নেও কতটা উদাসীন বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার। ধিক্কার উঠেছে রাজ্যজুড়ে। দায়ী করা হয়েছে যোগীর অপদার্থ প্রশাসনকে। প্রশ্ন উঠেছে, দূষিত ওই জল থেকে বিষক্রিয়ায় অসুস্থতা বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?

আরও পড়ুন-ভুটানের ৭২ নদী ফিবছর রাজ্যে বিপর্যয় ঘটায়, অথচ কেন্দ্র রিভার কমিশন গঠনে আগ্রহী নয়

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, ১০ দিন ধরে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা নজরেই এল না মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের। কিন্তু আতঙ্ক দেখা দেয় ছাদ থেকে পচা-দুর্গন্ধ ভেসে আসার পরেই। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সন্দেহের বশে মেডিক্যাল কলেজের পাঁচতলার ছাদে উঠে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে শুরু করেন সাফাইকর্মীরা। জলের ট্যাঙ্কে উঁকি দিতেই আঁতকে ওঠেন তাঁরা। দেখেন জলের ভেতরে পড়ে রয়েছে একটি পচাগলা মৃতদেহ। পরিচয় জানা যায়নি। সম্ভব হয়নি শনাক্ত করাও। মঙ্গলবার জেলাশাসক দিব্যা মিত্তল পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, রিজার্ভারটি তালাবন্ধ থাকার কথা থাকলেও খোলা ছিল সেটি। পুলিশের উপস্থিতিতে দেহটি কোনওরকমে উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের জলের ট্যাঙ্কে পচাগলা লাশের রহস্যের কিনারা এখনও পর্যন্ত করতে পারেনি পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এটি খুন, দুর্ঘটনা না অন্যকিছু। সিল করে দেওয়া হয়েছে রিজার্ভার। দায়িত্ব থেকে আপাতত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ রাজেশ কুমার বর্নওয়ালকে। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

Latest article