রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra sarovar) হোটেল থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে মৃতের নাম আর্যভট্ট ভাওয়াল। বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই হোটেলের ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন ওই যুবক কিন্তু ঘর থেকে ফোনে বেশ উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে শোনা যেত তাঁকে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আপাতত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই যুবকের বাড়ি বালিগঞ্জ স্টেশন রোড এলাকায়। তবে আপাতত তিনি রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার এই হোটেলে থাকছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে ওই ব্যক্তি নিজেকে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেন। প্রতিদিনের মতোই তিনি বাইরে যেতেন এবং সন্ধেয় ফিরে আসতেন। তবে হোটেল কর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে তাঁর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন। প্রায়ই ফোনে কারও সঙ্গে তর্ক করতেন তিনি।
আরও পড়ুন-পুজোর পরেই প্যান্ডেল-হোর্ডিং সরানোর নির্দেশ ফিরহাদ হাকিমের
বুধবার থেকে ঘরটি তালাবন্ধ অবস্থায় দেখে হোটেল কর্মীদের সন্দেহ হয়। বহুবার দরজায় ধাক্কা দিতেও ভিতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা খুলতেই দেখা যায়, বিছানার পাশে পড়ে রয়েছে আর্যভট্ট ভাওয়ালের দেহ এবং পাশে রয়েছে একটি নোট। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তরফে খবর, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । রবীন্দ্র সরোবর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। একটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদের ফলেই আর্যভট্ট হয়ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ কিন্তু ঠিক কি কারণে এই অবসাদ সেটা জানা যায় নি। আর্যভট্টের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর ফোন রেকর্ড ও দেহর পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নোট খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা জানান দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।