জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বিতর্কিত সার্কুলার ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় সব মহলে। যৌন হয়রানি (Sexual Harassment) বিষয়ে ১৭ জানুয়ারি একটি কাউন্সিলিংয়ের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার জন্য ওয়েবসাইটে একটি আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়েই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। সেই সার্কুলারে (circular) বলা হয়েছে, যৌন হেনস্থা রুখতে মেয়েদেরই জানা উচিৎ কোথায় থামতে হয়। পুরুষ ও নারীর বন্ধুত্বের মধ্যে সীমারেখা টানতে হয়।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় রোজ ভাঙছে বিজেপি
এই নিয়ে পড়ুয়া থেকে শিক্ষকমহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রশ্ন, এই ধরনের অধিবেশনে কী বার্তা দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি থেকে বোঝাই যাচ্ছে, যে এই জাতীয় অধিবেশনে যৌন হয়রানির দায় ছাত্রীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।
ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আয়েশা কিদওয়াই বলেন, এই আমন্ত্রণ থেকেই স্পষ্ট কেন মেয়েরা যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে আইসিসির কাছে আসতে চান না। কারণ, তাঁরা নিজেরাই দোষী সাব্যস্ত হবেন বলে ভয় পান।
বিশেষজ্ঞরা যদিও জানাচ্ছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি জানে কীভাবে হয়রানি রুখে দেওয়া যায়। সেই কারণে তাদের নতুন করে কিছু জানার নেই। ছেলেদেরই এ বিষয়ে জানাতে হবে। বিতর্ক উঠেছে এই ধরনের হয়রানির ক্ষেত্রে যদি এভাবে লিঙ্গবৈষম্যকে সার্কুলারে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তাহলে অধিবেশনে কী পাঠ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ!