সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ‘গুজবের বাজারে, করোনা এল নতুন করে। বিয়ে বাড়িতে এখন না যাওয়াই ভালো, বন্ধুবান্ধবদের বেশি বেশি করে বলো’ কোভিডে প্রয়াত দাদা রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত গুরুপদ চিত্রকরের লেখা ও সুর করা করোনা সচেতনতার এই গান গেয়ে পৌষমেলায় বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে প্রচার করছেন পটুয়া মিন্টু চিত্রকর।
আরও পড়ুন-জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত সার্কুলার ঘিরে তীব্র সমালোচনা
‘‘টিভির যুগে পট খেলার চল আর নেই। হয়তো আর পেটই চলত না, যদি মাথায় মায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকতেন।’’ বললেন পটুয়া মন্টু চিত্রকর। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার নয়াগ্রামে। দুই মেয়ে, এক ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর সংসার। ডাকবাংলো মাঠে স্ত্রী জবা চিত্রকর, ছোট মেয়ে সোনিয়া চিত্রকর এবং ছেলে সঞ্জয় চিত্রকররা পটের খেলা দেখিয়ে মনোরঞ্জন করছেন। রবিবার পূর্ণেন্দু বসুর সামনে পটের খেলা দেখান তাঁরা।
মন্টু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাসে হাজার টাকা ভাতা দেন। এছাড়াও দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী প্রকল্পে সরকারি সাহায্য পেয়েছি। শুধু তা-ই নয়, সরকারি অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছেন মণ্টু। তাঁর মেয়ে সোনিয়া দু’বার প্যারিস ও একবার জার্মানি গিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের অষ্টম শ্রেণি আর নিজের চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা বলে জানান তিনি। নিজে মুসলিম, কিন্তু হিন্দু দেবদেবী নিয়ে পট আঁকার পাশাপাশি পটের গান গেয়ে বেড়ান।