কর্মীবৈঠক হল, প্রতিনিধিদল ফেরার পর স্বাভাবিক ছন্দে ত্রিপুরা তৃণমূল

ত্রিপুরা তৃণমূল রাজ্য সদর দফতরে বিজেপির গুন্ডাদের হামলার মুখে দলের প্রতিবাদের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

আগরতলা: ত্রিপুরা তৃণমূল রাজ্য সদর দফতরে বিজেপির গুন্ডাদের হামলার মুখে দলের প্রতিবাদের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার রাজভবন, ডিজি অফিসে হামলার অভিযোগ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে চিঠি পাঠান বাংলা থেকে যাওয়া প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল ফিরে যাওয়ার পরেই নতুনভাবে উজ্জীবিত ত্রিপুরা তৃণমূল কর্মীরা। শুক্রবার থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে কাজ হয়েছে আগরতলার দলীয় কার্যালয়ে। এদিন দেখা গেল, আগের মতোই সেজে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস ভবন। শুরু হয়েছে কর্মী-সদস্যদের সাংগঠনিক ব্যস্ততা। অন্য জেলা থেকেও একাধিক কর্মী এসেছেন। কর্মীবৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় এদিন। বিজেপির গুন্ডাদের খুলে দেওয়া দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

আরও পড়ুন-হিউম পাইপে হচ্ছে দুধিয়া সেতু, বাড়ি তৈরি করছে রাজ্য, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উত্তরবঙ্গের পুনর্গঠনের কাজ

সোমবার রাতে আগরতলার বনমালীপুরে চিত্তরঞ্জন রোডে তৃণমূলের সদর কার্যালয়ে আচমকাই হামলা চালিয়েছিল বিজেপির শ’দুয়েক সশস্ত্র দুস্কৃতী। ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয় খোদ বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বেই। নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। তৃণমূল যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শান্তনু সাহার অভিযোগ, তাঁকে টার্গেট করেছিল বিজেপির গুন্ডারা। তাঁর হুঁশিয়ারি, এভাবে রোখা যাবে না তৃণমূলকে। বুধবার সকালেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতা থেকে আগরতলায় পৌঁছে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ সদস্যের বিশেষ প্রতিনিধিদল। ছিলেন বাংলার মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, লোকসভার দুই সাংসদ সায়নী ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, যুবনেতা সুদীপ রাহা। গেরুয়া তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত তৃণমূলের সদর কার্যালয়ে পৌঁছে খতিয়ে দেখেন সবকিছু। বৈঠক করেন দলের রাজ্য ও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। ডাক দেন বিজেপির গুন্ডামির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। সাংবাদিক বৈঠক করে নিন্দা করেন পুলিশ-প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার। পরে রাজ্য পুলিশ অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। স্মারকলিপি দেন রাজ্যপালের উদ্দেশে। যদিও এখনও পর্যন্ত হামলাকারীদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। প্রদেশ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু সাহা জানিয়েছেন, তাঁরা নিয়মিত অফিসে আসছেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। কোনও সমস্যা হচ্ছে না। প্রতিনিধিদল আসাতে তাঁরা খুশি। দলীয় কর্মীদের মনোবল বেড়েছে। রাজ্যে সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Latest article