নয়াদিল্লি: ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল হয় না। এর জলন্ত উদাহরণ দেশে বেকারত্ব। মূলত গত চার বছরে শিক্ষিত বেকারত্বের হার হু হু করে বেড়েছে মোদি সরকারের জামানায়। পরিস্থিতি শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে এবং হরিয়ানায়। কিন্তু মোদি-শাহ ডবল ইঞ্জিন সরকারের তা নিয়ে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই। বিজেপি শাসিত রাজ্যের শিক্ষিত বেকারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপির চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বেকারদের হারে নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর তীব্র সমালোচনা, দেশে এসআইআর, দুর্নীতি, জাতপাতের সমীকরণ, পরিয়ায়ী উৎপীড়ন— সবকিছু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। মোদি সরকারের জমানায় তরুণ প্রজন্মের জীবন ক্রমশই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। একাধিক সাধারণ মানুষের উদাহরণ তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর ব্যাখায়, বিটেক ডিগ্রিধারী হয়েও এক যুবক সম্মানজনক চাকরি পাননি। স্বল্প বেতনে জীবন ধারণের উপায় না পেয়ে বেশি রোজগারের লক্ষ্যে অগত্যা ক্যাব ড্রাইভারের কাজ করছেন।
আরও পড়ুন-কর্মীবৈঠক হল, প্রতিনিধিদল ফেরার পর স্বাভাবিক ছন্দে ত্রিপুরা তৃণমূল
বিজেপি শাসিত রাজস্থানে ১৮টি পিওনের শূন্যপদের চাকরিতে ১২০০০ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। ২০২৪ বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানায় বেকারত্বের ছবি অত্যন্ত শোচনীয়। ৪৬০০০ গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চুক্তিভিত্তিক শৌচাগার কর্মীর চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা, তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কর্মী ছাঁটাই। প্রধানমন্ত্রী ইন্টারশিপ স্কিমে কোটি কোটি প্রার্থী, নেই কোনও সুরাহা। কেন্দ্রীয় সরকার বেকারত্বের হার ৪-৬ শতাংশ বলে দাবি করছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের সমীক্ষা কেন্দ্রের এই দাবি সর্বৈব ভুল বলে জানিয়েছে। তীব্র সমালোচনায় সরব তৃণমূলের রাজ্যসভা দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ সালে ১২ হাজার বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারী এবং ১৪ হাজারেরও বেশি কর্মহীন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। অর্থাৎ, ৩৪ জন বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মী এবং ৩৯ জন বেকার ভারতে প্রতিদিন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন বেকারত্বের অবসাদে আত্মহননের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।