প্রতিবেদন : দোমোহনিতে তৈরি হবে দশ শয্যার হাসপাতাল। এই প্রস্তাবে অনুমোদন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার তাই দোমোহনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকেই হাসপাতালে উন্নীত করা হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাকে ইতিমধ্যেই বরাত দেওয়া হয়েছে। তবে পুজোর আগে কাজ শুরুর কথা হলেও এখনও শুরু হয়নি। তবে দ্রুত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা। বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীত সিং জানান, অতিবর্ষণে এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। ফলে পে লোডার দিয়ে কাজ শুরু করা যায়নি।
আরও পড়ুন-লড়াইয়ে খুশি খালিদ, ঘরে জিততে চান সুনীল
কিন্তু কালীপুজোর পরেই কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঠিকা সংস্থাকে। ফলে ২০২৬-এর গোড়ায় হাসপাতাল ভবনের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হবে। প্রসঙ্গত, বারাবনির কেলেজোরায় ৩০ শয্যার একটি হাসপাতাল রয়েছে। তবে ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সেখানে যেতে সমস্যায় পড়েন। সেই কারণেই আরও একটি ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরির দাবি ওঠে কয়েক বছর আগে। সেই দাবি মেনে নতূন হাসপাতালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলার সিএমওএইচ শেখ মহম্মদ ইউনূস। এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দোমোহনির স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে। প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাড়িটির পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ ও বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে এই হাসপাতালটি। সিএমওএইচ জানান, এই হাসপাতাল তৈরি হলে এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। উল্লেখ্য, বারাবনিতে একটি ১০ শয্যার হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৮-এ। কিন্তু এই পর্যাপ্ত জমি পাওয়ায় দোমোহানির বিনোদডাঙা এলাকার বাসিন্দা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শশাঙ্কশেখর সিংহ হাসপাতালের জন্য প্রায় দুই বিঘা জমি দান করেন। ২০১০-এ সেটির ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে হাসপাতালের পরিবর্তে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়। একজন চিকিৎসক সপ্তাহে তিন দিন সেখানে গিয়ে রোগী দেখেন। এদিকে আশপাশের ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা দাবি মেনে অবশেষে হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।