বিজয়া সম্মিলনী থেকে বিজয় সম্মেলনের ভিত্তিপ্রস্তর

Must read

প্রতিবেদন : শুরু হয়েছে ৫ অক্টোবর। ১১ অক্টোবরের মধ্যেই ১৩৫টি ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচি করা হয়ে গিয়েছে। আগামী কাল রবিবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে আরও ১০০টি ব্লকে বিজয়ার কর্মসূচি শেষ হবে। তবে উত্তরের বন্যা ও দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকাতে একদিকে প্রসাশন ও অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে এলাকার পুনর্গঠন এবং ত্রাণসামগ্রী বিলির কাজ চলছে। এখন টানা এই কাজ চলবে। তবে সামগ্রিকভাবে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে রাজ্য জুড়ে দলের সর্বস্তরের নেতা- কর্মীরা শপথ নিচ্ছেন ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা-বিরোধী বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।
শনিবারও উত্তরের দিনাজপুর থেকে দক্ষিণের সুন্দরবন-বর্ধমান-বীরভূম— সর্বত্র দলের বিজয়া সম্মিলনীতে উপচে-পড়া ভিড় ছিল। এদিন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ও কাটোয়াতে বিজয়া সম্মিলনী সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দু-জায়গাতেই তিনি প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, এখন অক্টোবর মাস বিজয়া করছি। আগামী বছর মে মাসে বিজেপিকে হারিয়ে হবে বিজয় উৎসব। তাঁর কথায়, আসলে বিজয় সমাবেশের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হচ্ছে বিজয়া সম্মিলনীতে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, এই জেলায় ১৬টি আসনের সব ক’টিতেই জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক শেখ সাহনাওয়াজ হোসেন-সহ দলীয় নেতা- কর্মীরা। দুটি জায়গাতেই মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আবার কোথাও মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, কোথাও তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ারা বাংলা জুড়ে চষে ফেলছেন। সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্ব তো আছেনই। সর্বত্রই একটাই শপথ, ২০২৬-এ বাংলা-বিরোধী বিজেপির কোনও স্থান নেই বাংলায়।

আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে ফিরছে স্বস্তি, পাশে আছেন মুখ্যমন্ত্রী

Latest article