৩১ হাজারের বেশি ক্যাম্প করে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করেছে বাংলার প্রশাসন। তবে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপর্যয়ের কারণে মানুষের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই বিপর্যস্ত এলাকার জন্য ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের মেয়াদ ৬ নভেম্বর থেকে বাড়ানোর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রবিবারই তিনি রওনা হন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার উদ্দেশ্যে। তার আগে বাংলার পরিষেবা প্রদানের নতুন প্রকল্প – ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’, নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-নৃশংস! উত্তরপ্রদেশে মসজিদের ভেতর মৌলবির স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেই তথ্যই পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আমরা পরিকল্পনা নিয়েছিলাম প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হবে। ফলে গোটা প্রকল্পটি ৮ হাজার কোটির নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু এর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির কথা ভেবে। সেই সব জেলাগুলিতে আধার কার্ড থেকে অন্যান্য নথি তৈরি সংক্রান্ত কাজ করে দিতে হবে। এই প্রকল্প ছাড়াও এই কাজ করার জন্য আরও সময় লাগবে।
‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে, তা নিয়ে তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের লক্ষ্য ছিল বুথভিত্তিক ৩১,৭০০ ক্যাম্প করার। এখনও পর্যন্ত আমরা সম্পূর্ণ করতে পেরেছি ২৮,৩০০ ক্যাম্প করতে। প্রায় ৯০ শতাংশ বুথ আমরা সম্পূর্ণ করে ফেলেছি। ক্যাম্পগুলিতে ২.৫ কোটি ভিজিটর এসেছেন। এবং তাঁরা তাঁদের অনেক রকম প্রায় ৩.৫৮ লক্ষ দাবি আমরা ইতিমধ্যেই পেয়েছি। তার মধ্যে ২.৮৪ লক্ষ দাবির স্কিম ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ১.৮৬ লক্ষ প্রকল্পের। ১০০ টি প্রকল্প ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সামগ্রিকভাবে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে ৯৪.৭ লক্ষ, যার মধ্যে ৭৭.৪ লক্ষ আবেদনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, যা প্রায় ৮১ শতাংশ।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে একাদশ শ্রেণির দলিত পড়ুয়াকে নৃশংস গণধর্ষণ
তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার এলাকায় সাধারণ আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্পের থেকে আরও বেশি কাজ করা হচ্ছে বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তুলে ধরেন, যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রয়েছে সেখানে ক্যাম্পগুলি বর্ধিত আকারে করা হচ্ছে। যাদের সংশাপত্র, আধার কার্ড হারিয়ে গিয়েছে, যাদের সব নথি হারিয়ে গিয়েছে, তাঁদের সব ডুপ্লিকেট কার্ড ইস্যু করার জন্য।