নয়াদিল্লি: জেপিসির অপব্যবহার করছে মোদি সরকার। অদূর ভবিষ্যতে তারা আরও নাটক করতে পারে। সেই কারণেই জেপিসিকে একটা মস্ত ভাঁওতা বলছি আমরা। মঙ্গলবার রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূলের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সংবিধান সংশোধনী বিল সংক্রান্ত জেপিসি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল এবার কংগ্রেসও। পাঁচ বছরের বেশি সাজা হতে পারে এমন অভিযোগে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের পদ ছাড়তে হবে— এই অসাংবিধানিক তিনটি বিল সংক্রান্ত জেপিসি গঠন করতে গিয়ে এবার চূড়ান্তভাবে ব্যাকফুটে মোদি সরকার৷
আরও পড়ুন-রাজ্যের অধিকারে ইডির হস্তক্ষেপ কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
সংসদের বাদল অধিবেশনে এই বিল যখন পেশ করেছিল মোদি সরকার, সেই সময়েই সবার আগে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল সহ বিরোধী শিবিরের চাপের মুখে বিল তিনটিকে পর্যালোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল সরকার পক্ষ৷ এর পরে বিরোধী শিবিরের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ২৩ অগাস্ট সবার আগে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা সরকার প্রস্তাবিত জেপিসি বয়কট করছে। কারণ সরকারের পুরো পদক্ষেপটাই ভাঁওতা৷ সরকার আসলে বেকারত্বের মতো জ্বলন্ত ইস্যু থেকে সবার নজর ঘোরাতে চাইছে, সাফ জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল৷ এই সময়েই তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা(উদ্ধব গোষ্ঠী), আরজেডি জানিয়ে দেয় তারাও জেপিসি বয়কট করছে৷ তখন কংগ্রেস কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি৷ অবশেষে তৃণমূলের পথে হেঁটেই এবার কংগ্রেসও জানিয়ে দিল যে তারা অসাংবিধানিক বিলকে কেন্দ্র করে সরকারের প্রস্তাবিত জেপিসি বয়কট করছে৷ তাদের দলের ৩-৪ জন সাংসদ এই জেপিসিতে যোগ দেবেন না৷ কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের পরে বিরোধী শিবিরের ১০-১১ জন প্রতিনিধি জেপিসি বয়কট করলেন৷ এর ফলে ৩০ জনের প্রস্তাবিত জেপিসি গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সংকটে এবং গভীর অস্বস্তিতে মোদি সরকার। উল্লেখ্য, দেরিতে হলেও কংগ্রেসের জেপিসি বয়কটের এই সিদ্ধান্ত তাত্পর্যপূর্ণ উল্লেখ করে মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, আমরা সবাই বিজেপি এবং আরএসএসকে হারানোর জন্য একজোট হয়ে চেষ্টা করছি৷ এটা টিম ওয়ার্ক৷ তবে মাথায় রাখতে হবে এই দলগুলির মধ্যে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই কংগ্রেসের শরিক নয়৷