মামলাবিদ্ধ হাসিনা জমানার সেনাকর্মীরা

আদালতের কাজ শেষ হলে তাঁদের আবার নেওয়া হবে সেনাবাহিনীর হেফাজতেই। পুলিশ হেফাজতে নয়। জানানো হয়েছে বাংলাদেশ সেনার পক্ষ থেকেই।

Must read

ঢাকা: ইউনুস সরকারের প্রতিহিংসার আগুন থেকে রেহাই নেই বাংলাদেশের সেনা অফিসারদেরও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুগতদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে মানবতাবিরোধী ৩টি মামলায়। সবকটি অপরাধই হাসিনা জামানার বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, আদালতে পেশ না করে তাঁদের রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীর হেফাজতেই। অথচ আইন অনুযায়ী কিন্তু সামরিক আদালতে বিচার হবে না ধৃত সেনা অফিসারদের। মামলার সুনির্দিষ্ট তারিখে তাঁদের হাজির করা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর নতুন দফতর সেন্ট্রাল ভিস্তায়

আদালতের কাজ শেষ হলে তাঁদের আবার নেওয়া হবে সেনাবাহিনীর হেফাজতেই। পুলিশ হেফাজতে নয়। জানানো হয়েছে বাংলাদেশ সেনার পক্ষ থেকেই। এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। প্রশ্ন উঠেছে, সেনা আদালতে বিচার না করে ধৃত আধিকারিকদের কেন বিচার করা হচ্ছে অসামরিক আদালতে? লক্ষণীয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল বাংলাদেশের মোট ১৬ জন সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হলেও একজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন তারজন্য কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর দাবি অন্তত তাই। ধৃত ১৫ জনের মধ্যে রয়েছেন ২ জন মেজর জেনারেল, ৬ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং কয়েকজন কর্নেলও। পরিবারের কারও সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধুমাত্র এই ১৬ জনই নয়, প্রাক্তন এবং বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। প্রশ্ন হল, ধৃত সেনা অফিসারদের রাখা হবে কোথায়? স্পষ্ট করে জানানো হয়নি কিছুই। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড লাগোয়া উত্তরদিকের ৫৪ নম্বর এমইএস বিল্ডিংকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

Latest article