কাবুল : চরম কূটনৈতিক সংঘাতে উত্তপ্ত দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক। আফগান বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের পর থেকে পাকিস্তান- আফগানিস্তান সংঘাত আরও বেড়েছে। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানি সেনা এবং তালিবান বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। আরেক আফগান প্রদেশ কান্দাহারেও দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বলা হচ্ছে, আফগান সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। গত কয়েকদিন ধরেই বারবার দু-দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের খবর শিরোনামে আসছে। আফগান ভূখণ্ডকে পাকিস্তানের ভারত- বিরোধী অ্যাজেন্ডা পূরণের কাজে ব্যবহার করা হবে না বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে আফগান সরকার। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে চোরাগোপ্তা সংঘাত লেগেই আছে। পাকিস্তানের কোনও মন্ত্রীকে আলোচনার জন্য আফগান ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান সরকার। এদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় কাতার ও সৌদি আরবের কাছে মধ্যস্থতার আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার।
আরও পড়ুন-ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ গ্রেফতার, তোলপাড় কূটনৈতিক মহল
দুই দেশের সামরিক সংঘাতের ঘটনা নিয়ে বুধবার সকালে তালিবান প্রশাসন দাবি করে, কান্দাহারের স্পিন বলডাক জেলায় প্রথমে হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ওই হামলায় প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি কাবুলের। জখম শতাধিক মানুষ। পাকিস্তানের ওই হামলার পরেই তালিবান বাহিনী প্রত্যাঘাত শুরু করে। কান্দাহারে হামলার ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে তালিবান সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদিন জানিয়েছেন, কান্দাহারের স্পিন বলডাকে আবার হামলা শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। বহু সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। তালিবান সামরিক বাহিনীর সূত্রে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি সেনার থেকে স্পিন বলডাক গেট দখল করে নিয়েছে আফগান বাহিনী। ওই এলাকা বর্তমানে পুরোপুরি আফগান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিন তালিবানের পাল্টা হামলায় পাক বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কাবুলের।