বিজেপির আরেক নাম দুর্নীতি ও অপশাসন! এবার ওড়িশায় পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর (SI) পদে নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতি ঘিরে চাঞ্চল্য। ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখা (crime branch)-র তদন্তে দেখা গিয়েছে ৩০০টি পদে নিয়োগের জন্য চাকরি বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নকল অ্যাডমিট কার্ড তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের একাংশের পরীক্ষার জায়গা পাল্টানো হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীরা এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীরা টাকা দিলেই ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হত। এখানেই শেষ নয়, নিজের সুবিধা মত এমন জায়গায় তাদের পরীক্ষার সেন্টার ফেলা হত, যেখানে পরীক্ষার্থীরা যথেচ্ছ কারচুপির সুযোগ পাবেন। ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখা এটিকে “সংগঠিত অপরাধী চক্র” ধরে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর (সিবি) বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আর্থিক লাভের জন্য অন্যায্য উপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভূতনাথ মন্দিরের কাছে গঙ্গায় তলিয়ে গেল গাড়ি, আহত ৪
তদন্তকারীদের নজরে ওড়িশার দু’টি বেসরকারি সংস্থা ‘সিলিকন’ এবং ‘পঞ্চসফ্ট’ রয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ১১৪ জন পরীক্ষার্থীকে যারা বাসে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনে যাওয়া ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যান। ওড়িশার এই চাকরি দুর্নীতিতে শঙ্কর প্রুস্টি নামের এক ব্যক্তিকেই মূল অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তিনি পলাতক। জানা যাচ্ছে, শঙ্কর নেপাল হয়ে দুবাই পালিয়ে গিয়েছেন। গ্রেফতারি এড়াতে শঙ্কর প্রুস্টি এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুনা মোহান্তি, আরও তিনজনের সাথে, ওড়িশা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। অন্যান্য আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন দীপ্তিময়ী সাহু, শ্রীকান্ত মহারাণা এবং সুকান্ত মহারাণা ওরফে রিঙ্কু। শঙ্কর প্রুস্টি এবং মুনা মোহান্তির বিরুদ্ধে এর আগে লুকআউট সার্কুলার জারি করা হয়েছিল, যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে দেশ ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এখানেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে চাকরি দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন এত সহজে? লুকআউট সার্কুলার জারি হওয়ার পরেও কেউ কিভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে?হাইকোর্ট শীঘ্রই তাঁদের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।