পরিচালক ঋষভ শেট্টির ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’ (kantara chapter 1) এই মুহূর্তে প্রচণ্ড চর্চায়। কারণ সিনেমা চলাকালীন ভয়ঙ্কর সব কাণ্ড ঘটছে দর্শকদের সঙ্গে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেইসব ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে ছবি দেখতে বসে কেউ অঝোরে কাঁদছেন, কেউ চিৎকার করছেন, কেউ ঠাকুরের নাম জপ করছেন, কেউ প্রচণ্ড কাঁপছেন, কেউ হাত-পা ছুঁড়তে শুরু করছেন যা দেখলে ভয় লাগতে বাধ্য। কেউ আবার সিনেমা হল-এর মাঝেই মাটিতে শুয়ে প্রণাম ঠুকতে থাকছেন। ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’ দেখে সেই মুহূর্তেই নাকি অনেক দর্শকের মধ্যে ভর করছেন দেবতা— এমনটা দাবি করেছেন অনেকেই। তাই দর্শকদের মধ্যে এমন আচরণ দেখা দিচ্ছে। মুক্তির পর থেকেই থিয়েটার জুড়ে শুরু হয়েছে এক অদ্ভুত উন্মাদনা।
ইতিমধ্যেই বক্স অফিসেও ঝড় তুলেছে ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’ (kantara chapter 1)। মুক্তির এক সপ্তাহেই নজির গড়েছে এই ছবি। মুক্তির মাত্র দশদিনেই ভারতে ছবির আয় ৪০০ কোটি এবং বিশ্ব জুড়ে ছবির আয় ৫০০ কোটির ওপর। ছবিটি ইতিমধ্যে ভারতের সর্বসেরা ব্যবসা করা ২৫টি সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। ২০২২ সালের সুপারহিট ছবি ‘কান্তারা’র প্রিক্যুইল হল ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’। ২০২২-এ ‘কান্তারা’ও বিশ্বব্যাপী আয় করেছিল ৪০০ কোটি রুপির বেশি। কেন এমন উন্মাদনা? দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের একটি জায়গার নাম হল টুডু নাড়ু। সেখানকার মানুষের বিশ্বাস তাঁদের গ্রাম এবং বনজঙ্গল রক্ষা করে প্রেতাত্মারা। তাই তাঁরা জঙ্গল প্রকৃতিকে ভগবানের মতো পুজো করেন। ‘ভুতা কালা’ নামের এক বিশেষ পদ্ধতি এবং লোকনৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এই পুজো করা হয়। ঋষভ শেট্টির ছবি ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’ ছবিতে সেইসব লৌকিক, অলৌকিক বিশ্বাস এবং প্রথাই উঠে এসছে। ‘কান্তারা’ শব্দটি আসলে সংস্কৃত, কানাড়া ভাষায় এর অর্থ হল ‘রহস্যময় জঙ্গল’। পুরাণ কল্প এবং লোকগাথা নিয়ে ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’-এর পটভূমি তৈরি। প্রেক্ষাপট ৩০০ সাল পূর্বের কর্নাটকের কাদম্বরাজবংশের আমল। সেখানে পাঞ্জুরলি দৈব ও গুলিগা দৈবের উপকথার এক অসম্ভবের গল্প। মানুষের চিরন্তন বিশ্বাসকে স্পর্শ করেছে ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’। ‘কান্তারা’ শুধুই ছবি নয়, এক অদ্ভুত ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা যা বর্ণনার অতীত। কেন সেটা আপাতত রহস্যই থাক। বড়পর্দায় গিয়ে দেখলে তবেই আসল মজা উপভোগ করা যাবে। বিজ্ঞানের যুগে খানিক আজগুবি মনে হলেও ছবিটি নব্বই শতাংশ দর্শকের মনে প্রবলভাবে জায়গা করে নিয়েছে। ঋষভ শেট্টি শুধু এই ছবির পরিচালক এবং রচনাকারই নন, তিনি এই ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্রাভিনেতা। এ ছাড়া ছবিতে রয়েছেন সপ্তমী গৌড়া, গুলশন দেভাইয়া, উর্বশী রৌতেলা প্রমুখ। হোম্বলে ফিল্মসের হয়ে ছবির প্রযোজনা করেছেন বিজয় কিরাগান্দুর। মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম ও হিন্দি।
আরও পড়ুন-ইয়েমেনে জেলবন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসি স্থগিত হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র