সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর ব্যারাজে ডিভিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিসের সামনে শুক্রবার চলল তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার-সহ কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী। এলাকার সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ডিভিসি জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে কোনও খবর দেয় না, পরামর্শও করে না।
আরও পড়ুন-কালীকথা
বিহার, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই তেনুঘাট, মাইথন, পাঞ্চেতের জল ছেড়ে দেয়। ফলে বাংলা ডুবে যায়, সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ডিভিসি মিথ্যা কথা বলে। ডিভিসি জল ছাড়ার পর মেইল করে। কিন্তু জল ছাড়ার আগে করে না। জল ছেড়ে তার পর মেইল করে লাভ নেই। কারণ ততক্ষণে সেই জলে যাঁদের ক্ষতি হয় তাঁদের রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাঁধ হওয়ার পরে পলি না তোলায় এখন জলধারণের ক্ষমতা তিন ভাগের এক ভাগে দাঁড়িয়েছে। আগে দামোদর ছিল ত্রাস। এখন ডিভিসি সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাস। ওরা ইচ্ছা করে জল ছাড়ে, মানুষ মারে, এলাকায় বন্যা ডেকে আনে। তিনি বলেন, আজ ডেপুটেশন দেওয়া হল। মূল কথা এটাই, জল ছাড়তে হবে পরামর্শ করে আর পলি তুলতে হবে। মন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, ডিভিসির তুঘলকি আইনের জন্য মানুষ কোনও ক্ষতিপুরণ পান না। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির পরিদর্শনের পর ১৩ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু পলি তোলা হয়নি। রাজ্য এক পয়সাও পায়নি। ২৬ বছরে এরকম বৃষ্টি হয়নি, এ বছরে যা হয়েছে। কিন্তু ডিভিসি জল ছাড়ছে রাজ্যকে না জানিয়ে কোনও সুযোগ না দিয়েই। ডিভিসি ব্যভিচার চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই আমাদের বিক্ষোভ।