রাজবাড়ির ২৫০ বছরের প্রাচীন কালীমন্দিরে ভোগের রীতি অটুট

মহিষাদলের তেরপেখ্যা মোড় থেকে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটাপথ এই কালীমন্দির। এখনও রাজ পরিবারের কেউ প্রয়াত হলে এখানেই শেষকৃত্য হয়।

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান,মহিষাদল: মহিষাদলের ছোট্ট একটি গ্রাম মধ্যহিংলি। সেই গ্রামেই অবস্থিত প্রাচীন মহিষাদল রাজবাড়ির প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন শ্মশান। রাজবাড়ির পূর্বপুরুষদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে এখানেই। ঐতিহাসিক এই জায়গায় প্রায় ২৫০ বছরের বেশি আগে রাজবাড়ির তরফ গড়া হয় শ্মশানকালীর মন্দির। সেখানেই আজও সাড়ম্বরে কালীপুজোর আয়োজন করেন রাজ পরিবার ও মধ্যহিংলির বাসিন্দারা। প্রাচীন নিয়ম মেনে আজও কালীপুজোর বিশেষ ভোগ আসে রাজবাড়ি থেকে। দেবীকে সেই ভোগ অর্পণের পর গ্রামের মানুষদের বিলি করা হয়। এবছরও বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা থাকছে বলে জানান রাজ পরিবারের সদস্য রুদ্রপ্রসাদ গর্গ।

আরও পড়ুন-রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ায় ভুগছে বাংলা, ডিভিসি অফিসে বিক্ষোভে মন্ত্রীরা

মহিষাদলের তেরপেখ্যা মোড় থেকে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটাপথ এই কালীমন্দির। এখনও রাজ পরিবারের কেউ প্রয়াত হলে এখানেই শেষকৃত্য হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে রানি ইন্দ্রাণী দেবীর। এই শ্মশানে রয়েছে তিনটি মন্দির। একটি শ্মশানকালীর, একটি মহাদেবের এবং অন্যটি বিষ্ণুর অনন্তশয্যার। জানা যায়, অনন্তশয্যার মূর্তির জন্য সাদা পাথর নাকি আনা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ থেকে। মধ্যহিংলির বাসিন্দা প্রদীপ মাজি বলেন, এখনও পর্যন্ত ব্রাহ্মণ এসে দুপুরে-সন্ধ্যায় পুজো করেন এই মন্দিরে। দুপুরে ভোগ দেওয়া হয়। কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজোর আয়োজন থাকে প্রতি বছর। এখানে কালীর ভোগে প্রায়ই আলুভাতে দেওয়ার রীতি রয়েছে। কালীপুজোর দিন রাজবাড়ির তরফে রান্না করা নানা পদ এনে ভোগ দেওয়া হয়। মহিষাদল রাজবাড়ির এই কালীপুজো বৈষ্ণব মতে হয়। এখানে কালীপুজো শুরুর আগে পুজো পান লক্ষ্মীনারায়ণ। সারারাত পুজো দেখতে অধীর আগ্রহে বসে থাকেন গ্রামের মানুষজন।

Latest article