মাত্র কিছু দিন পরপরই খবরের শীর্ষে আসে ওড়িশা, শুধুমাত্র নারী নির্যাতন-ধর্ষণের (Minor Girl Raped) মতো ঘটনার কারণে। নারী নিরাপত্তা থেকে সাধারণ নিরাপত্তার বিষয়টি মোহন মাঝির ওড়িশায় কতটা ন্যক্কারজনক তা স্পষ্ট হয়ে গেল রাজধানী ভুবনেশ্বরের রাস্তায় ধর্ষিতা নাবালিকা উদ্ধারের ঘটনায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুধুমাত্র জানা যায় নাবালিকা বিহারের বাসিন্দা। তবে আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন হওয়ায় ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষে।
ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর। আর সেই শহরের রাস্তায় শনিবার রাত ৮টা নাগাদ স্থানীয় রিক্সাচালকরা এক নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখে। প্রাথমিকভাবে নাবালিকা অত্যন্ত যন্ত্রণায় কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয়দের। তবে তাকে রক্তাক্ত দেখে সন্দেহ হওয়ায় হাসপাতালে যেতে সহযোগিতা করেন স্থানীয়রা। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শহরের রাস্তায় কীভাবে ওই নাবালিকা (Minor Girl Raped) এলো, তা নিয়ে কোনও খবর ছিল না ওড়িশা পুলিশের কাছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নাবালিকার বয়স ১৬ বছর। যৌন নির্যাতনের পরে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে সে কোনও কথা বলার অবস্থাতেই নেই। নিজের বাড়ির বিহারে বলে সে জানাতে পারেনি। তবে কীভাবে সে ভুবনেশ্বরের শহরের রাস্তায় এলো তা জানাতে পারেনি। হাসপাতালে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে তাকে। ভুবনেশ্বরের ক্যাপিটাল হসপিটাল নাবালিকার ধর্ষণ নিশ্চিত করেছে।
হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহের পরে ওড়িশা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করে। পকসো আইনে মামলা শুরু হয়েছে। যে ওড়িশার নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রীরা বাংলার দুর্গাপুরের ঘটনায় বারবার বাংলাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁদের কাউকে অবশ্য এই ভিন রাজ্যের নাবালিকার পাশে এসো দাঁড়াতে দেখা যায়নি। প্রতিবেশী রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ওড়িশার বিজেপি সরকারের রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে এই ঘটনা বড় প্রশ্ন তুলে দিলো। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি। ফলে স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।