তমলুকে বিজয়ামঞ্চে বিজেপি ছেড়ে যোগ পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যের, ছাব্বিশে জামানত বাজেয়াপ্তর হুমকি সায়নীর

বিজেপি পরিচালিত অঞ্চল দখল করে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্তর হুমকি দিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ।

Must read

সংবাদদাতা, তমলুক : ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তমলুকে শক্তিবৃদ্ধি হল তৃণমূলের। বিজেপি পরিচালিত অঞ্চল দখল করে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্তর হুমকি দিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। শনিবার বিকেলে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের তরফে রাজ ময়দানে বিজয়া সম্মিলনী করা হয়। সায়নী ঘোষ ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বিপ্লব রায়চৌধুরি, বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, সুকুমার দে, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায়, চেয়ারম্যান অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যরা।

আরও পড়ুন-ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে বিজেপির ওড়িশায় নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিস

এদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তমলুক ব্লকের পদুমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান দোলন মাইতি ও পঞ্চায়েত সদস্য নির্মল ক্যুইলা। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে সায়নী বলেন, কাজ করবে মমতা আর তোমরা পাবে ক্ষমতা, এ আশা করো না। আপনারা মনে রাখবেন ছাব্বিশে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ওই নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের মুখ্যমন্ত্রী করার নির্বাচন। আমাদের বাংলা বাঁচানোর লড়াই। বাঙালি এবং বাংলা ভাষাকে বাঁচানোর লড়াই। কারণ বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী। কেউ বাংলা ভাষা বললে ওরা তাঁকে বাংলাদেশি বলে। সায়নী আরও বলেন, আজকে যে নিজেকে বড় নেতা মনে করছে কাল সে পাবলিকের রোষে পড়ে ন্যাতা হয়ে যাবে। মানুষ এখনও বিজেপির কাছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জবাব চাইছেন। দিন যত এগিয়ে আসবে লড়াইটা ততই দলকে শক্তিশালী করার। একটা কথা মাথায় রাখবেন, নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসবে ইডি-সিবিআই, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং বিজেপি নেতাদের আসা-যাওয়া ততই বাড়বে। ওদের বিরুদ্ধে যত বেশি বলব আমাদের তত হেনস্থা করা হবে। এতে আপনারা দমে যাবেন না। আপনাদের সঙ্গে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। আগামী নির্বাচনে যাতে নন্দীগ্রাম তৃণমূলের হাতছাড়া না হয় সেজন্য এদিন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম আমাদের পাস্ট চ্যাপ্টার। এরপরে কিন্তু একটা কথাও দল শুনবে না। লড়াইয়ের জন্য বাহিনী প্রস্তুত করুন। কেউ কোনও অজুহাত শুনবে না। কর্মীদের হাতজোড় করে বলব, আর মাত্র তিন মাস বাকি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করে দিতে পারে। আপনারা প্রস্তুত হয়ে যান। এদিনের কর্মসূচিতে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল বিশেষ চোখে পড়ার মতো। দলের বর্ষীয়ান নেতা-কর্মীদের এদিন মঞ্চ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়।

Latest article