ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে বিজেপির ওড়িশায় নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিস

ওই বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করেছে। পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Must read

কেঁচো খুঁড়তে ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে বেরিয়ে এল কেউটে! ওড়িশার (Orissa) ভুবনেশ্বরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নেমে নারীপাচার এবং বড় যৌনচক্রের নাগাল পেল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতের এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ভুবনেশ্বরের লক্ষ্মীনগরে একটি পাচারচক্র পুলিশের নজরে আসে। শনিবার ভুবনেশ্বর পুলিশ এবং লক্ষ্মীনগর থানার পুলিশ একটি যৌথ অভিযান চালায়। তাদের কাছে খবর আসে লক্ষ্মীনগর এলাকার একটি বাড়িতে নারীপাচার চক্র চলছে। ওই বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করেছে। পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত ৪ উত্তরপ্রদেশের শ্রমিক

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, লক্ষ্মীনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মঞ্জু শেঠি, মমতা সাহু, সঞ্জীবকুমার দাস এবং অবিনাশ মুদুলিকে। শেঠি, সাহু এবং দাস এই পাচারচক্রের মূল কাণ্ডারি। পুলিশ কমিশনার এস দেবদত্ত সিংহ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যে হাসপাতালের সামনে কিশোরীকে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকেই লক্ষ্মীনগরে একটি বাড়ির কথা জানতে পারেন তারা। দেখা যায় ওই বাড়ি থেকেই নারীপাচার এবং যৌনচক্র চালানো হচ্ছিল। ধৃত মুদুলিকে মূল অভিযুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কিশোরীকে জোর করেই দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। তিনি রাজি না হওয়ায় চলেছিল অকথ্য অত্যাচার।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালের সামনে এক কিশোরীকে গুরুতর জখম এবং অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালের কর্মীরা পুলিশে খবর দেন। কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তারপরেই পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি চলছিল। এরপরেই লক্ষ্মীনগরে নারীপাচার এবং যৌনচক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। তবে এই ঘটনার পর আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী সুরক্ষা।

Latest article