প্রতিবেদন : দুই বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলার দুই শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু (Mysterious death)! একদিকে, কর্মস্থল গোয়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুরুলিয়ার পরিযায়ী শ্রমিক রমেশ মাজির পচাগলা দেহ মিলেছে ওড়িশার কটকে। ছেলের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ তুলে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রমেশের বাবা। অন্যদিকে, গুজরাতে কাজে গিয়ে বহুতলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার নির্মাণ-শ্রমিক মসিউর বিশ্বাসের। তবে ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় গুজরাত থেকে তাঁর মৃতদেহ হরিণঘাটার বাড়িতে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন- সন্তানরা পরীক্ষার্থী হলে দায়িত্ব নয় ডিআই-এসআইদের, নির্দেশ পর্ষদের
বছর দেড়েক আগে মেজ দাদার সঙ্গে গোয়ায় কাজ করতে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ার প্রতাপগড়ের বাসিন্দা রমেশ মাজি (২৬)। কালীপুজোয় ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সোমবার পরিবারের সঙ্গে শেষবার কথা বলেন রমেশ। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর। শেষপর্যন্ত শনিবার রাতে ওড়িশার কটকে রমেশের পচাগলা দেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। ছেলেকে খুন (Mysterious death) করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাবা মঙ্গল মাজির। তাঁর দাবি, মেজ ছেলের থেকে জানতে পেরেছি, ট্রেনে কয়েকজন রমেশকে ঘিরে ধরে এবং মারধরও করে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হোক! ইতিমধ্যেই শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধায়ক ও মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু মৃত শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, ওড়িশা থেকে দেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছে জেলা প্রশাসন।
আবার, পেশায় রাজমিস্ত্রি নদিয়ার শ্রমিক মসিউর বিশ্বাস (৩১) দু’মাস আগেই গুজরাতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ চলাকালীন হঠাৎই ছাদ থেকে পড়ে যান ওই যুবক। দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। একমাত্র রোজগেরে ছেলেকে হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছে গোটা পরিবার। এই মৃত্যু শুধুই দুর্ঘটনা নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ আছে, তা জানতে তদন্ত করছে গুজরাতের পুলিশ।