প্রতিবেদন : দীপাবলির আলোকমালায় গোটা বাংলা আজ মাতোয়ারা। আজ, মহাশক্তির আরাধনা। দিকে দিকে অপরূপ থিমের বহর, আলোর রোশনাই। আলোর উৎসব দীপাবলি ও জগজ্জননী শ্যামা মায়ের পুজোয় মেতে উঠেছে গোটা রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও মাতৃ আরাধনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এসে গিয়েছে দেবী প্রতিমা। মণ্ডপ সাজিয়ে তুলতে সাজো সাজো রব। সেজে উঠেছে পীঠস্থান কালীঘাট-সহ দক্ষিণশ্বর, তারাপীঠ, নৈহাটির বড়মা ও রাজ্যের অন্যান্য কালীমন্দির। কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফাটাকেষ্টর কালীপুজো, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির পুজোকেও ঘিরেও সাজো সাজো রব।
দুর্গোৎসবের পর ফের উৎসবমুখর গোটা বাংলা। আলোর উৎসব দেশজুড়েই।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বাংলা মেতেছে মাতৃ-আরাধনায়। কোথাও সাবেকিয়ানা, কোথাও বিষয় ভাবনার অভিনবত্ব। কোথাও আবার মন কেড়েছে আলোকসজ্জা। হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় ভেসে শ্যামা মায়ের আগমনি বার্তা মণ্ডপে-মণ্ডপে। এই উৎসবের আনন্দে ঐক্যের সমারোহ রাজ্যজুড়ে। মায়ের চরণে ভক্তি-অর্ঘ্য নিবেদনে অন্ধকার দূর করে আলোয় পথের দিশারি ভক্তকুল। আর কালীপুজোর বাংলায় উল্লেখযোগ্য হল বারাসত। বারাসত মানেই আলোর সমারোহ। কালীপুজোর রাতে কলকাতার দুর্গাপুজোকে টেক্কা দিতে তৈরি হয় বারাসত। এই লড়াইয়ে এখন শামিল হয়েছে আবার মধ্যমগ্রাম, নৈহাটিও। দীপাবলির আগে রবিবার ভূত চতুর্দশী। এদিনই বাংলার অলিগলি সেজে উঠেছে জমকালো আলোর রোশনাইয়ে। আজ, সোমবার কালীপুজো। তাক লাগিয়ে দেওয়া প্রতিমা আর মণ্ডপসজ্জা। সেইসঙ্গে প্রতিটি বাড়ি সেজে উঠেছে আলোকমালায়। দীপান্বিতা অমাবস্যার নিকষ কালো অন্ধকারে সেই আলোকমালা অপরূপ শোভাবর্ধন করে বাংলার। সেইসঙ্গে মাতৃ-আরাধনায় হিংসা-গ্লানি দূর হয়ে প্রতিটি মানুষের হৃদিপদ্ম হয়ে ওঠে আলোকময়।