আপাতত বিরতিতে সীমান্ত সংঘর্ষ, আরও একবার শান্তিচুক্তি পাক-আফগানে

আপাতত বিরতি আফগান-পাক সীমান্ত সংঘর্ষে। তবে প্রশ্ন থেকেই গেল, কতদিন স্থায়ী হবে এই বিরতি? আদৌ কি ফিরবে শান্তি?

Must read

দোহা: আপাতত বিরতি আফগান-পাক সীমান্ত সংঘর্ষে। তবে প্রশ্ন থেকেই গেল, কতদিন স্থায়ী হবে এই বিরতি? আদৌ কি ফিরবে শান্তি? বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তান একাধিকবার হামলা চালিয়েছে আফগানিস্তানের সীমান্তে। স্পষ্টতই দখলদারির অপচেষ্টা। শান্তিচুক্তি অমান্য করে ভীতুর মতো রাতের অন্ধকারে আফগানিস্তানের শহরে হামলা চালিয়ে ক্রিকেটারদের হত্যা করতেও পিছপা হয়নি পাকিস্তান। তবে প্রতিবারই পাকসেনার উপর পাল্টা হামল চালিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে আফগান সেনা। শেষ পর্যন্ত তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় ফের একবার শান্তি প্রতিষ্ঠা হল পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ডুরান্ড লাইন বরাবর। দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি করে প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তিবৈঠকে যোগ দিয়েছিল। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা চলে। রবিবার সকালে বিবৃতি দিয়ে সংঘর্ষবিরতির কথা জানায় কাতারের বিদেশমন্ত্রক। এই পদক্ষেপকে নৈতিক জয় হিসাবে দেখছে আফগানিস্তান। তালিবান প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া, একটি অতি অসম্মানজনক পরাজয়ের পরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। তাই তাদের অসময়েই শান্তির পথে ফিরতে হল। এতে আফগানিস্তানের নীতিই সঠিক বলে প্রতিষ্ঠিত হল। আফগানিস্তান বরাবর আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানেই বিশ্বাসী।

আরও পড়ুন-৭ লক্ষ বছর পরে ঘুম ভাঙল ইরানের তাফতান আগ্নেয়গিরির, বিস্ফোরণ যে কোনও মুহূর্তেই

আফগানিস্তানের রাস্তায় উড়েছে পাকসেনার খুলে নেওয়া অন্তর্বাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পাকসেনাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। আবার চোখ বাঁধা পাকসেনাদের আটকে রাখার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছে আফগানিস্তানই। এত কিছুর পরেও শিক্ষা হয়নি শাহবাজ শরিফের সরকারের। রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে উদীয়মান তিন আফগান ক্রিকেটারকে। এমনকী সেটাও দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেই। ইতিমধ্যেই শাহবাজ শরিফকে নিজের বন্ধু দাবি করে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্পষ্ট করে দেন ভারতে যেভাবে হামলা চালানোর নেপথ্যে ছিল পাকিস্তান, সেভাবেই হামলা চালানো হয়েছে আফগানিস্তানে। এরপরই আরব দেশগুলি এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়। দোহায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি বৈঠকে ডাকা হয়। সেই বৈঠকে ডুরান্ড লাইন বরাবর শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয় দুই দেশই।

Latest article