প্রতিবেদন : দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর এলাকায় অত্যাধুনিক ফিশিং হাব (Fishing Hub) তৈরির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর জন্য নামখানা (Namkhana) এবং কাকদ্বীপের (Kakdwip) মাঝামাঝি উপযুক্ত জায়গা বাছতে বললেন মৎস্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি অত্রি ভট্টাচার্যকে। বুধবার গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মৎস্যজীবীদের অর্থনৈতিক বিকাশের উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। একদিকে ফিশিং হাবের (Fishing Hub) সংখ্যাবৃদ্ধি, পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের হাতে দ্রুত ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) তুলে দিতে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও সাগরকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মৎস্যজীবীর অন্নসংস্থান হয় যুগযুগ ধরে। বাণিজ্যিক দিক দিয়েও তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারাবছর ধরেই প্রকৃতির চোখরাঙানি উপেক্ষা করে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার এবং নৌকোয় সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাঁরা। তাঁদেরই মেহনতের ফসল ডায়মন্ডহারবারে (Diamond Harbour) দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি ফিশ মার্কেট। ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যবন্দরেও সাফল্যের নেপথ্যেও তাঁরাই। বকখালির সমুদ্রসৈকত এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, জুনপুট, শঙ্করপুর, মোহনা, দীঘা-সহ বঙ্গোপসাগরের তীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অর্থনীতির একটা বড় অংশ নির্ভরশীল এই মৎস্যজীবীদের উপরেই। কিন্তু তাঁদের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান এবং জীবনযাত্রার উন্নয়নের দিকটা উপেক্ষিত ছিল দীর্ঘ বাম জমানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে অবস্থার পরিবর্তন হয়।
আরও পড়ুন-ক্ষমতায় এলে গোয়ায় স্বচ্ছ প্রশাসন, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি Abhishek Banerjee-র