দীপাবলির আগেই ‘ভয়ানক’ রাজধানীর বায়ুদূষণ

আলোর উৎসবে বিষ-বাতাস। একবছর আগে ঠিক এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল দিল্লিবাসীদের। যমুনার জল ঢেকে গিয়েছিল দূষণের ফেনায়।

Must read

নয়াদিল্লি: আলোর উৎসবে বিষ-বাতাস। একবছর আগে ঠিক এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল দিল্লিবাসীদের। যমুনার জল ঢেকে গিয়েছিল দূষণের ফেনায়। এবারে দীপাবলির আগেই দূষণের ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে রাজধানী। শুক্রবার সকালে দিল্লির বায়ু গুণমান সূচক বা একিউআই ছিল ৩২৬, অর্থাৎ ‍‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে। রবিবার আরও অবনতি হল পরিস্থিতির। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্যের দাবি, সকালে অক্ষরধামের আশপাশে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দাঁড়ায় ৪২৬।

আরও পড়ুন-নয়ডা কালীবাড়ির পুজো মানেই যেন প্রবাসীদের গেট টুগেদার

নয়ডায় ২৯৮, গুরগাঁওতে ২৫৮, গাজিয়াবাদের বিজয়নগরে ৩০০। দিল্লির গৌতমবুদ্ধ নগরে পার্টিকুলেট ম্যাটার বা বাতাসে মিশে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কঠিন কণা এবং তরলের মিশ্রণ ভয়ানক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে দূষণের মাত্রাকে। আলোর উৎসব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই দিল্লিবাসীকে শ্বাস নিতে হচ্ছে দূষিত বাতাসে। ধোঁয়াশা আর কুয়াশার দাপটে কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতাও। কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট সবুজ বাজি ব্যবহারে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছিল। বেঁধে দিয়েছিল সময়সীমা। পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটাতে উৎসবের অনুমতি দেওয়া হলেও কোর্ট স্পষ্ট করে জানায়, যেকোনও ধরনের প্রদূষণকারী বাজি নিষিদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীপাবলিতে দিল্লির বাতাস আরও খারাপের দিকে যাবে। কারণ, এসময় সাধারণত বাজির ধোঁয়া, যানবাহনের ধোঁয়া এবং পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মতো আশপাশের রাজ্যগুলিতে ফসলের গোড়া পোড়ানোর কারণে দূষণ মাত্রা বেড়ে যায়। দিল্লির ভৌগোলিক গঠনও দূষণের মাত্রা ধরে রাখার পক্ষে সহায়ক। ফলে পরিস্থিতি সহজে স্বাভাবিক হয় না। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের নাগরিকদের অভিযোগ, ভোরবেলা বা রাতের দিকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। সাইক্লিং, হাঁটা কিংবা খোলা আকাশের নিচে ব্যায়াম করা কঠিন হয়ে পড়ছে। উত্তর দিল্লির এক সাইক্লিস্ট বলেন, প্রতি বছর দীপাবলির আগে থেকেই এই দূষণ শুরু হয়। চোখ জ্বালা করে, গলায় খুসখুস করে, নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। প্রশ্ন উঠেছে, মানুষকে ভয়াবহ দূষণ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে কী করছে গেরুয়া সরকার?

Latest article