প্রতিবেদন : শব্দ নয় নিঃশব্দ চাই। শিল্পীর তুলিতে ফুটে উঠেছে সেই দাবি, যা আজকের দিনে বড়ই প্রাসঙ্গিক।
কালীপুজো এলেই শব্দ দানবের তাণ্ডব দেখা যায় চারিদিকে। বেআইনি শব্দবাজির বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও একশ্রেণির মানুষ লিপ্ত থাকে এই কাজে। শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখির জীবনও নাজেহাল হয়ে ওঠে। তারা অবলা তাই মুখ বুজে সহ্য করে। এই পরিস্থিতিতে চন্দননগর স্ট্রান্ড রোডে শিল্পী সোহেল-সহ কয়েকজন এই শব্দ দানবের বিরুদ্ধে রং-তুলি হাতে নিঃশব্দ প্রতিবাদে শামিল হলেন।
ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুললেন শব্দ-দানবের জ্বালায় পশু-পাখির জীবন সংকটের কথা। তারা কতটা শঙ্কায় থাকে এই দিনগুলোতে, নিজেদের বাঁচাতে কীভাবে আড়াল খোঁজে, তা ফুটিয়ে তোলেন ক্যানভাসে।
আরও পড়ুন-বৈদ্যুতিক বিড়ম্বনা
চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড সবসময়ই শব্দ-দূষণ নিয়ন্ত্রিত। আর তাই সারা বছর পরিযায়ী পাখিরা আসে। তারা গঙ্গার পাড়ের স্নিগ্ধতা অনুভব করে। গঙ্গার পাড় বরাবর গাছগুলোতে অসংখ্য পাখিদের আস্তানা।
কিন্তু কালীপুজো, ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলোতে শব্দ কোলাহলে ভরে ওঠে এলাকা। তাই চন্দননগরেরই কয়েকজন শিল্পী মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে আসেন ক্যানভাসের সাহায্যে।
আশ্রয় হোম অ্যান্ড হসপিটাল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের শ্রীরামপুর শাখার সম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, খুবই ভাল উদ্যোগ। কারণ প্রত্যেক বছর এই উৎসবের সময় শব্দবাজি তাণ্ডব দেখা যায়। আসলে মানুষ মনে করে এই পৃথিবীটা শুধু তাদেরই। কিন্তু পশুপাখি না থাকলে মানুষের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। তাই যতটা এই পৃথিবী মানুষের, ততটাই অন্যান্য জীবজন্তু, পশু-পাখির।
শব্দদানবের অত্যাচারে অনেক পশু-পাখি মারা যায়। বয়স্ক অসুস্থ মানুষদেরও অনেক অসুবিধা হয়। সেটা কখনই সমীচীন নয়। তাই সচেতন হতে হবে। নিজেদের আনন্দের জন্য অন্যের নিরানন্দের কারণ যেন না হই আমরা।