সেঞ্চুরিয়ন : সেঞ্চুরিয়নে শেষবেলায় শামি-সিরাজরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে (India VS South Africa) চেপে ধরেছেন, তখন সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল বিরাট কোহলিকে নিয়ে! বিষয়বস্তু খুব পরিচিত। ভারত অধিনায়কের অধুনা অফস্ট্যাম্প-প্রীতি। আরও একটা দিন। আরও একটা ইনিংস। আর আরও একটা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে একইভাবে উইকেট দিয়ে এলেন ভিকে। শুধু এবারের উইকেটটা তিনি দিলেন বাঁ হাতি জেনসেনকে। দুই ইনিংসেই (India VS South Africa) যিনি চমৎকার জায়গায় বল রেখে গেলেন।
বলা হয়নি, ২০২১-এও বিরাটের ব্যাটে সেঞ্চুরি এল না! ঠিক আগের বছরের মতো। শেষ সেঞ্চুরি ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, ২০১৯-এ। এদিন ৩২ বলে ১৮ রান করে কিং কোহলি ফিরে যেতেই টুইটারে শুরু হয়ে যায় কোহলি-চর্চা। কেউ লিখলেন, এটা আর কিছুই না, বিরাট ও অফ স্ট্যাম্পের লভ স্টোরি। আরেকজন চূড়ান্ত অফ ফর্মে থাকা পুজারাকে টেনে এনে মন্তব্য করলেন, বিরাট আর পুজারা দু’জনেই এখন এক! আরেকজন আবার মনে করিয়ে দিলেন, বল অফ স্ট্যাম্পের বাইরে যাচ্ছে, সঙ্গে কোহলির উইকেটও। নিজের দিনে এমন চর্চা বিরাট ব্যাটেই উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু সময় বড় কঠিন ও নির্মম।
আরও পড়ুন-ক্ষমতায় এলে গোয়ায় স্বচ্ছ প্রশাসন, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি Abhishek Banerjee-র
দিনের শেষে ১-০ এগিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকা চার উইকেটে ৯৪। জিততে হলে চাই আরও ২১১ রান। যেটা বেশ কঠিন দেখাচ্ছে। বরং কিন্তু এসব আলোচনা আসতই না, যদি না তৃতীয় দিনের মতো আরও একটা ব্যাটিং ভরাডুবি হত ভারতের। রাবাডা ও জেনসেনের ধাক্কায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ১৭৪ রানে। দু’জনেরই চার উইকেট। তার থেকেও বড় কথা হল ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ৩৪, ঋষভ পন্থের। বাকিরা শুধু উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার প্রদর্শনী করে গিয়েছেন। কত সহজে উইকেট দিয়ে যাওয়া যায়, তার যেন প্রতিযোগিতা দেখল সুপার স্পোর্ট পার্ক!
এই মাঠে বলা হয় খেলা যত গড়ায়, ততই উইকেটের গতি বাডে। তাই বোধহয় তৃতীয় দিনে শামি আগুনে বোলিং করার পর বুধবারটা ছিল রাবাডা ও জেনসেনের। তবে দুই ফাস্ট বোলার যত না ভাল বল করলেন, তার থেকেও বেশি উইকেট দিয়ে এলেন রাহুল, রাহানে, পুজারারা। রাহুল সেট হয়ে গিয়েও এনগিডিকে নিজের উইকেট দিয়ে এলেন। রাহানের জেনসেনকে পুল মারতে যাওয়ার দরকারই ছিল না। পুজারা একবার জীবন পেয়েও ১৬ রানের বেশি যেতে পারেননি। অধিনায়কের ব্যাপারটা আগেই বলা।
জেতার জন্য ৩০৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ৩৪ রানের মধ্যে মার্করাম আর পিটারসেনকে হারিয়ে তারা চাপে পড়ে গিয়েছিল। তবে অধিনায়ক এলগার আর ভ্যান ডার ডুসেন মিলে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন। এলগার ৫২ ব্যাটিং। আপরাতত তিনি ভরসা। শেষবেলায় বুমরা দুই উইকেট নিয়ে প্রতিরোধ ভেঙে দেন। বাকি দুটি উইকেট শামি ও সিরাজের।