দূষণের জেরে জেরবার গোটা দেশ, সেখানে আতসবাজি নিয়ে লড়াই চলছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। বাজির লড়াইয়ের জেরে মঙ্গলবার ইন্দোরে আহত হলেই অন্তত ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। দীপাবলির আনন্দ সেখানে শেষ পর্যন্ত পরিণত হল সাধারণ মানুষের দুঃখ ও প্রশাসনের বিলম্বিত বোধোদয়ে। ‘উৎসব’ থামিয়ে দেওয়া হল আধ ঘণ্টা আগেই।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে আগুন, পাশে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছে গৌতমপুরা গ্রামে প্রায় শতাব্দী প্রাচীন রীতি হিংগোট যুদ্ধ। দুপক্ষের যোদ্ধারা একে অন্যের দিকে জ্বলন্ত রকেটের মতো বস্তু ছুঁড়ে এই যুদ্ধ চালায়। যা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষের ভিড় হয়। দর্শকদের রাখা হয় লোহার জালের বাইরে। ১০ ফুট উঁচু জাল দেওয়া হয় তাঁদের নিরাপত্তার জন্য। প্রতি বছরই যোদ্ধা থেকে দর্শক সকলেই আহত হন এই ‘উৎসবে’। ২০১৭ সালে এক দর্শকের মৃত্যুও হয়। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টও এই জীবনহানিকর খেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তা সত্ত্বেও প্রশাসনিক তৎপরতাতেই প্রতি বছর হচ্ছে এই মারণ উৎসব।
আরও পড়ুন-ঋতু বদলের অসুখে
দিপাবলীর পরের দিন বুধবার গৌতমপুরা গ্রামে গ্রামে তুরা ও রুনজি গ্রামের কালাঙ্গি দলের মধ্যে এই জ্বলন্ত রকেটের প্রতিযোগিতা হয়। এদিন দর্শকদের মধ্যে কেউ হতাহত না হলেও আহত হন প্রতিযোগীরাই। ভয়াবহ পোড়ার আঘাত নিয়ে ৫ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ৩০ জনকে ঘটনাস্থলেই শুশ্রুষা করা শুরু হয়। এদের মধ্যে কেউ উড়ে আসা জ্বলন্ত হিংগোটে আহত। আবার কেউ উপর থেকে পড়া বাজির আগুনে। বুধবারের দুর্ঘটনার পরে ফের প্রশ্ন উঠেছে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে।