এ বারের দীপাবলিতে সবথেকে বেশি ব্যক্তি হয়েছে ‘কার্বাইড গান’ (Carbide gun)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল এই বাজির ভিডিয়ো। কিন্তু লাগামছাড়া এই বাজির ব্যবহারে মধ্যপ্রদেশের অন্তত ১২২ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি। এই বাজিকে ‘দেশি ফায়ার ক্র্যাকার গান’ বা ‘মিনি ক্যানন’-ও বলা হয়। চিকিৎসকরা মনে করছেন এই বাজি মোটেই আতশবাজি বা খেলনার আওতায় পড়েনা। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি বিস্ফোরক যন্ত্র।
আরও পড়ুন-কাকদ্বীপে ধর্মীয় রঙ লাগাতে ব্যর্থ বিজেপি! কালী মূর্তি ভাঙার ঘটনায় ব্যাখ্যা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের
জানা গিয়েছে, ক্যালসিয়াম কার্বাইড অর্থাৎ, ফল পাকাতে যে রাসানিক ব্যবহার করা হয়, সেটা দিয়ে ছোট বিস্ফোরণ ঘটায় এই ‘গান’। সাধারণত প্লাস্টিক বা টিনের পাইপ দিয়ে এটি তৈরী হয়। এই পাইপের ভিতরেই রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। পাইপের ভিতরে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম কার্বাইড রাখা হয়। এর সঙ্গে জল দিলেই তীব্র রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়। তৈরি হয় অ্যাসিটিলিন গ্যাস (C2H2) । এই গ্যাস মারাত্মক পরিমান দাহ্য। পাইপের মধ্যে অ্যাসিটিলিন গ্যাস জমা হয়ে একটি ছোট ছিদ্র দিয়ে লাইটারের মাধ্যমে সেই গ্যাসে আগুনের ফুলকি দেওয়া হয়। অ্যাসিটিলিন গ্যাস আগুনের সাথে মিশলেই তীব্র বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন-ভাইফোঁটায় কমল মেট্রোর সংখ্যা
দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময়ে পাইপটি ফেটে যায় বা পাইপের ভেতর থেকে ক্ষুদ্র ধাতব কণা, কার্বাইডের বাষ্প বাইরে বেরিয়ে আসে। এই টুকরোগুলি চোখ, মুখ ও শরীরের অন্যান্য অংশে গুরুতর আঘাত করে। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের নয়, শিশুদের চোখ ও মুখের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঘটনাও ঘটেছে। এরপরেই কার্বাইড গান নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। উল্লেখ্য, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে বিপুল পরিমানে বিক্রি হয়েছে এই বাজি। অনলাইনেও প্রচুর দামে বিক্রি হয়েছে কার্বাইড গান।