সুদেষ্ণা ঘোষাল, নয়াদিল্লি: মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছিল প্রতি বছরে দু-কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে৷ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ দূরস্থ্, দেশের কোটি কোটি বেকারদের চাকরি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টাই করেনি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই ইস্যুতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান৷ তাঁর সাফ কথা, চাকরি সমস্যা আসলে সরকারের সমস্যা৷ বছরের পর বছর ধরে মোদি সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোক ঠকানোর কাজ করছে, দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করা তাদের উদ্দেশ্য নয়, তোপ দেগেছেন ডেরেক ও’ব্রায়ান৷ তাঁর যুক্তি, দেশের গড় বেকারত্বের হারের তিনগুণ বেশি হল যুব সম্প্রদায়ের বেকারত্বের হার৷
আরও পড়ুন-প্যাংগং হ্রদের কাছে নতুন বিমানঘাঁটি বানাচ্ছে চিন
মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে৷ কিন্তু দেশের বেকারত্বের হার বোঝা যাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যানে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় রেলের ৬৪,০০০ শূন্য পদে আবেদন করেছেন ২ কোটি বেকার৷ শিক্ষক থেকে চিকিত্সক, বিজ্ঞানী থেকে নিরাপত্তা কর্মী- সমাজের সর্বস্তরে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে অথচ সেখানে কোনও নিয়োগ হচ্ছে না, সাফ জানান ডেরেক ও’ব্রায়ান৷ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং নবোদয় বিদ্যালয়ে ১২,০০০ শিক্ষক পদ খালি আছে বলেও জানান তিনি৷ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানী, ইঞ্জিানিয়ার এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের পদ দীর্ঘদিন শূন্য পড়ে আছে, ভারতীয় রেলেই দেড় লক্ষ পদ খালি, জানান ডেরেক ও’ব্রায়ান৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, বিগত বছরগুলির তুলনায়
২০২৩ সালে রেলের দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৭ শতাংশ৷ অপ্রতুল কর্মী দিয়ে কাজ করানোর জন্যই দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

