বাঃ মোদিজি বাঃ! এই না হলে ‘বিকশিত’ ভারত, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বাণিজ্য-দোসর আপাদমস্তক প্রতারক ও জালিয়াত প্রেমচাঁদ

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাণিজ্য দোসর হিসেবে বেছে নিল আপাদমস্তক প্রতারক একজন অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক জালিয়াত ব্যবসায়ীকে।

Must read

প্রতিবেদন : সত্যিই, দুর্নীতিতে মোদি সরকারের কোনও সমকক্ষ নেই। আবার তা প্রমাণ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাণিজ্য দোসর হিসেবে বেছে নিল আপাদমস্তক প্রতারক একজন অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক জালিয়াত ব্যবসায়ীকে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের পর গর্জে উঠেছে তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তোপ দেগেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে মোদিজির ‘বিকশিত’ ভারতের উজ্জ্বল তারকার কীর্তিকলাপও তুলে ধরেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিখেছে, মোদিজির ঠিক পাশের চেয়ারটায় বেছে নেওয়া হয়েছে একজন পলাতক প্রতারককে। তবেই না প্রতিষ্ঠিত হবে সেই প্রবাদবাক্যটি— চোরে চোরে মাসতুতো ভাই!

আরও পড়ুন-কলকাতায় বৃষ্টি শুরু, ১২ ঘণ্টার মধ্যে ‘মান্থা’

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা পীযূষ গোয়েল ‘ভারত ইন্টারন্যাশনাল রাইস কনফারেন্স’ আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রেমচাঁদ গর্গকে। এই ব্যক্তি এখন নন-বাসমতী রাইস ডেভেলপমেন্ট ফান্ড বোর্ডের তিনজন বেসরকারি বাণিজ্য প্রতিনিধির একজন। তিনি আদতে একজন পেশাদার অপরাধী, যাঁর জীবন জুড়ে রয়েছে প্রতারণা, চোরাচালান ও জালিয়াতির মামলা। সে অর্থে তিনি বিজেপির ‘নিউ ইন্ডিয়া’র একদম উপযুক্ত প্রতিনিধি। এই পরিচয় জানানোর পর তাঁর কীর্তিকলাপও ফাঁস করে দিয়েছে তৃণমূল।
১. ২০২১ সালে, সিবিআই প্রেমচাঁদ গর্গ ও তাঁর স্ত্রীকে এসবিআই-সহ পাঁচটি ব্যাঙ্কের একটি কনসোর্টিয়ামকে ৯৭৯.১৫ কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত করে।
২. কর্নাটকের একটি বিশেষ আদালত প্রেমচাঁদ গর্গকে ২,৫০০ কোটি টাকার অবৈধভাবে উত্তোলিত লোহার আকরিক রফতানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে।
৩. একই খনি কেলেঙ্কারিতে এই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর তাঁকে আগাম জামিন দেওয়ার বিনিময়ে ১৫ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন।
৪. ২০১৬ সালের শেষের দিকে এবং ২০১৭ সালের শুরুতে, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স ও পুলিশ প্রেমচাঁদ গর্গ ও তাঁর পুত্রকে শুল্ক-মুক্ত সোনার চোরাচালান ও ১৭ কোটির বেশি শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে গ্রেফতার করে।
৫. ২০১৫ সালে নাইজেরিয়ান কর্তৃপক্ষও প্রেমচাঁদ গর্গ ও তাঁর ছেলে দেবাশিসকে অভিযুক্ত করে ইকোব্যাঙ্ক পিএলসি-কে প্রায় ৪.২ মিলিয়ন ডলার প্রতারণা করার অভিযোগে।
এখন বাণিজ্যের প্রচারে সরকারের অংশীদার হিসেবে সেই প্রতারককেই বেছে নিয়েছে মোদি সরকার। বাঃ মোদিজি বাঃ! এই না হলে আপনার ‘বিকশিত’ ভারত তথা ‘নিউ ইন্ডিয়া’!

Latest article