বাংলা বিরোধী নীতি ধরে রাখতে বাংলাকে ভাতে মারার পরিকল্পনা নিয়েছিল কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বিজেপি সরকার (BJP)। তার প্রথম ধাপ হিসাবে বাংলায় একশো দিনের বকেয়া টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে বাংলায় এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তিন বছর ধরে।
আরও পড়ুন-SIR এর আগে রাজ্য প্রশাসনে বড় রদবদল! সরলেন একাধিক জেলার জেলাশাসক
কেন্দ্রের এই স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বাংলার প্রশাসন। হাই কোর্টে দ্রুত প্রকল্প চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে বাংলার টাকা আটকাতে যায় কেন্দ্র। সোমবার সেই মামলায় মুখ পুড়ল কেন্দ্রের। হাই কোর্টের প্রকল্প চালু করার নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বাংলা-বিরোধী নীতিতে বাংলাকে ভাতে মারার পরিকল্পনা করেছিলেন কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বিজেপি সরকার। তার প্রথম ধাপেই বাংলায় একশো দিনের বকেয়া টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপর একশো দিনের কাজের প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দই বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। তিন বছর ধরে একটা নয়া পয়সাও দেওয়া হয়নি বাংলাকে। কেন্দ্রের এই স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বাংলার প্রশাসন। হাইকোর্টে দ্রুত প্রকল্প চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে বাংলার টাকা আটকাতে দরবার করেছিল কেন্দ্র। এবার সেখানেও মামলায় মুখ পুড়ল কেন্দ্রের। হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সফল ট্রায়াল রান, কাল খুলে যাচ্ছে দুধিয়া সেতু
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে বারবার গর্জে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছে আন্দোলন। তারপর কেন্দ্রের তোয়াক্কা না করে বাংলার মানুষের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই সমানে চলেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এল বহু কাঙ্ক্ষিত জয়। আদালতের সাফ কথা, একটা প্রকল্পে এত বিপুল পরিমাণ মানুষকে বঞ্চিত করতে পারে না কেন্দ্রের সরকার। তাই প্রকল্প দ্রুত চালু করতে হবে। বাংলায় ১০০ দিনের কাজ ১ অগাস্ট থেকে চালু করার নির্দেশ দিলেও কেন্দ্র সরকার তা অবমাননা করেছে। উপরন্তু কেন্দ্র হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সোমবার শুনানিতে এই মর্মে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।

