প্রতিবেদন : এসআইআর ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির সহযোগী সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করে ধুয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি ও কমিশনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে বললেন, আগামী বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু কৌশলে বিজেপিশাসিত অসমকে বাদ রাখা হল এসআইআর থেকে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলায়!
আরও পড়ুন-হঠাৎ ঝড়ে ভাঙল সবথেকে বড় ‘জগদ্ধাত্রী’, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে ইন্দ্রনীল ও চন্দননগরের মেয়র
যদি ইন্ডিয়ার ম্যাপ দেখেন ( স্ক্রিনে দেখিয়ে), উত্তর- পূর্বের জায়গায় জুম করে দেখলে দেখা যাবে, পার্শ্ববর্তী দেশ কোনগুলি! একদিকে বাংলা, রয়েছে অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর। এসআইআর হচ্ছে শুধু বাংলায়। বাকি ৪টে রাজ্য বাদ! অথচ ১৫ দিন আগে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। মায়ানমার বর্ডারে ৪টি রাজ্য রয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গা আছে বলে বলা হয়। অথচ মায়ানমারের সঙ্গে বর্ডার রয়েছে মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ। এখানে বাংলার বর্ডার নেই। যদি রোহিঙ্গা প্রবেশ করে, তবে এই ৪টি রাজ্য দিয়ে ঢুকছে। আপনি যদি বলেন বাংলায় আসতে হয় তবে তাকে মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল দিয়ে আসতে হবে। এর উত্তর কমিশনকে দিতে হবে।
অভিষেক বলেন, ২০০২তে যখন এসআইআর হয়েছিল তখন ২ বছর সময় লেগেছিল। এখন বলছে ২ মাসে করবে! ৫টা রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। কৌশলে অসমকে বাদ দিয়েছে। বিজেপি যে রাজ্যে ক্ষমতায় সেখানে এখন এসআইআর হবে না। অসমে কেন হবে না? এটা কে বেছে দিয়েছে? কার অঙ্গুলিহেলনে এসব করছে? ৫ রাজ্যের একমাত্র অসমে বিজেপির ক্ষমতায়। সেখানে এসআইআর হবে না? কমিশন সদুত্তর দিতে পারেনি। এরপরই কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, আসলে ওদের উদ্দেশ্য বাংলাকে অপমান, বাংলা ভাষাকে বিদ্রুপ, বাঙালিকে বাংলাদেশি বলে দাগানো। আগেও বলেছি, একটা বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে বাংলার এক লক্ষ লোক গিয়ে কমিশনের অফিস ঘেরাও করবে। অমিত শাহর দিল্লি পুলিশ আটকে দেখাক।

