নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় গত ৫ মাসে ৪০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। ফলে রীতিমতো আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এই বিমান সংস্থার। কারণ, ঘুরপথে উড়তে হচ্ছে বিমানগুলোকে। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে যেমন আচমকাই বেড়ে গিয়েছে জ্বালানির খরচ, ঠিক তেমনই সময়ও বেশি লাগছে। এর প্রভাব পড়ছে বিমানকর্মীদের বেতন বাবদ খরচেও। একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। সবমিলিয়ে গত ৫ মাসে অনেকটাই অতিরিক্ত খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়াকে।
আরও পড়ুন-ডবল ইঞ্জিন ত্রিপুরায় আবার ধরা পড়ল ৩ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
বুধবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে একথা জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন। ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের পরে গত মে মাস থেকেই পরস্পরের জন্য বন্ধ দু-দেশের আকাশসীমা। এরফলে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিণতিতে মূলত ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বিমানগুলোই গুরুতর সমস্যার মুখে পড়েছে। অনেকটাই ঘুরপথে যেতে হচ্ছে সেগুলোকে। এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, এরফলে আগের তুলনায় অতিরিক্ত সময় লাগছে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট। পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা গণহত্যা চালানোর পর থেকেই বন্ধ দু’দেশের আকাশসীমা। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক বিমান নয়, নিষেধাজ্ঞা সামরিক বিমান চলাচলেও। ফলে কোনও বিমানের পক্ষেই আর আগের রুটে ওড়া সম্ভব নয়। ফলে বেশ বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করে যাত্রীপরিষেবা অব্যাহত রাখতে হচ্ছে বিমানসংস্থাকে।
এদিকে, আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইওর মন্তব্য, অশান্ত ২০২৫। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, বিমানটিতে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। ইঞ্জিনেও কোনও বদল জরুরি ছিল না। চূড়ান্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। তা থেকে যদি কোনও শিক্ষা নেওয়ার থাকে অবশ্যই নেব। পরিষেবা আরও উন্নত করা হবে আগামী দিনে।

