সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানালেন তিনি। তাঁর কথায়, দেশের সংবিধান বাঁচাতে আগাগোড়া প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আমজনতার স্বার্থে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মধ্যে একা লড়াই করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কুর্নিশ জানালেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ।
আরও পড়ুন-জিএসটি, মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের
বুধবার রাচিতে জেএমএম প্রধান হেমন্তে সোরেনের সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভা দলনেতা ডেরেক ব্রায়েন একান্ত সাক্ষাৎ করেন। প্রায় মিনিট চল্লিশ দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। তখনই জননেত্রীর প্রতি হৃদয়ের শ্রদ্ধা উজাড় করে দেন হেমন্ত। হেমন্তের সঙ্গে ডেরেকের সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই সময়ই এসআইআরের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। যার পথ দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেমন্ত সোরেন নিশ্চিত, সামনের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় আবার বিপুল জয় হবে তৃণমূলেরই। তাঁর অভিযোগ, যত ভোট এগিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীদের হেনস্থা ও অপদস্থ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপি সরকার এজেন্সিকে দিয়ে আরো বেশি চাপ তৈরির চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি তৃনমূল কংগ্রেসের পাশে সবসময় আছেন এবং থাকবেন বলে জানিয়েছেন হেমন্ত সোরেন।
এদিন, কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন বলরাম মান্নার মিষ্টি এবং শাল নিয়ে হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে দেখা করেন করেন তৃণমুলের রাজ্যসভা দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের সখ্যতার কথা সর্বজনবিদিত। তৃণমূল নেত্রী হেমন্ত কে নিজের ভাইয়ের মতো দেখেন। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথের সময় নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রন জানান হেমন্ত। এছাড়াও বাংলার বন্যা পরিস্থিতিতে দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহয়োগিতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোটেও জননেত্রীর দেখানো পথে হেঁটেছেন সোরেন।
ইতিমধ্যেই দেশে এস আই আর প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। তার বিরোধিতায় একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁডিয়েছেন। রাচির বৈঠকে এস আই আর ইস্যু আলোচনায় উঠে না এলেও এমন সময়ে বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড, দুই রাজ্যের শাসক দলের বৈঠকে মিলিত হয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

